ধর্ষণের পর হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয় সাদিয়ার লাশ

সাদিয়া হত্যায় গ্রেফতার দুই আসামির একজনধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যা করে সাদিয়া আক্তারের (২১) লাশ নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছিল কথিত প্রেমিক ও তার সহযোগীরা। ওই হত্যা মামলায় গ্রেফতার দুই আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে এ তথ্য জানিয়েছে।

রবিবার পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পুলিশের সহায়তায় বরিশাল কোতোয়ালি থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল  ওহাব দুই আসামিকে গ্রেফতার করেন। সোমবার তাদের বরিশালে নেওয়া হয়। নিহত সাদিয়া বরিশাল নগরীর অক্সফোর্ড মিশন রোডে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড টেকনোলজির ছাত্রী ছিলেন। গত ১৯ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।

আটক দুজন হলো মঠবাড়িয়ার বড়মাছুয়ার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের মো. ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে মো. সিরাজ (২৫) ও একই গ্রামের দেলোয়ার আকনের ছেলে মো. হাফিজ আকন (১৬)।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সাদিয়াকে মঠবাড়িয়ার বড়মাছুয়া এলাকায় বলেশ্বর নদীর তীরে নিয়ে ধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল কোতোয়ালি থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল ওহাব। তবে এখন পর্যন্ত সাদিয়ার লাশের সন্ধান মেলেনি।

বরিশাল নগরীর ডেফুলিয়া এলাকার বাসিন্দা আলমগীর খানের মেয়ে সাদিয়া ১৯ নভেম্বর তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেননি। পরে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেলে আলমগীর খান ২২ নভেম্বর বরিশাল কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন ।

জিডির তদন্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল  ওহাব মোবাইল ট্র্যাকিং করে মো. সিরাজের উপস্থিতি শনাক্ত করেন। রবিবার মঠবাড়িয়া পুলিশের সহায়তায় প্রধান অভিযুক্ত সিরাজ ও হাফিজকে গ্রেফতার করেন।

সিরাজের ঘর থেকে সাদিয়ার ব্যবহৃত জিনিসপত্রও উদ্ধার করা হয়। জিডিটি পরে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।

মামলার প্রধান আসামি সিরাজ জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে মোবাইল ফোনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নাজমুল ইসলাম নয়নের (৩০) সহায়তায় বরিশাল নগরীর রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে ২০ নভেম্বর সাদিয়াকে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় নিয়ে যায়। নয়ন বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের আ. রব হাওলাদারের ছেলে।

রাত সাড়ে ৯টার দিকে বড়মাছুয়া এলাকায় বলেশ্বর নদীর পাড়ে নিয়ে সাদিয়াকে তিন জন মিলে ধর্ষণ করে। এসময় চিৎকার দিলে সাদিয়ার গলা টিপে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয় তারা।