রসিক নির্বাচন: কাউন্সিলর প্রার্থী মাসুদকে কোপানোর অভিযোগ প্রতিদ্বন্দ্বী তরুর বিরুদ্ধে

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মনিরুজ্জামান মাসুদ (ছবি- প্রতিনিধি)

রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মনিরুজ্জামান মাসুদকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিদ্বন্দ্বী মোকলেসুর রহমান তরু ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ১১টার দিকে নগরীর তালতলা খটখটিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় মাসুদকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি- তদন্ত) আব্দুল আজিজ এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এপর্যন্ত সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে তরু ও তার অনুসারীরা ১৫-২০টি মোটরসাইকেলে করে মাসুদের নার্সারিতে আসেন। পরে তারা অস্ত্রের মুখে মাসুদকে নার্সারির বাইরে নিয়ে রাস্তার ওপর ফেলে কোপান। এর অনেক পরে স্থানীয়রা মাসুদকে রমেক হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে তিনি ওই হাসপাতালের ১৯ নম্বর নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

১৯ নম্বর নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডের চিকিৎসক আব্দুল মান্নাফ জানান, রোগীর (মাসুদ) মাথায় বেশি আঘাত লেগেছে। এখনও রোগীর অবস্থা গুরুতর।

হাসপাতালে গেলে কাউন্সিলর প্রার্থী মাসুদ বলেন, ‘নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য বেশ কিছু দিন ধরে আমাকে হুমকি দিয়ে আসছিল তরু ও তার লোকজন। এতে মাসুদ ও তার পাঁচ সমর্থক আইনুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, নুরুজ্জামান, মাহমুদুল ইসলাম ও নুর এলাহীকে আসামি করে কোতয়ালী থানায় ৬টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। শেষমেশ বৃহস্পতিবার রাতে তারা আমার ওপর হামলা করে। এরপর রাস্তায় ফেলে তারা রাম দা দিয়ে আমার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কোপায়।’ মাসুদের অভিযোগ, ‘তরু প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ এখনও তাকে গ্রেফতার করেনি।’

এ ব্যাপারে বক্তব্য নেওয়ার জন্য মোখলেসুর রহমান তরুর মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার কল দেওয়া হলেও তিনি তা ধরেননি।

ওসি আব্দুল আজিজ বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। সাত জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তরুসহ বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’