প্রধানমন্ত্রী নিরপেক্ষ নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছেন, তাই আশা হারাচ্ছি না: জাপা প্রার্থী মোস্তফা

জাপা মেয়র প্রার্থী মোস্তফা

রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার সময়সীমা যতই কমে আসছে, উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজনীতির মাঠ। এবার আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি (জাপা) ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা পরস্পরের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলেছেন। এছাড়া একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদ্গারও করছেন তারা।  তবে শুধু আওয়ামী লীগ নয়, জাতীয় পার্টির প্রার্থীও প্রত্যাশা করছেন প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে। 

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর রবার্টসনগঞ্জ ও এর আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন জাতীয় পাটির মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু ও বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী কাওসার জামান বাবলার বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেন। এ দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। পরে আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নির্বাচন করার আশ্বাস দিয়েছেন বলে এ ব্যাপারে আশা হারাচ্ছি না।’ এসময় সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুর বিরুদ্ধে কালো টাকা ছড়ানোর অভিযোগও করেন তিনি।

শনিবার বিকালে নগরীর বাবু খা এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করেন সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে তিনি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও কাওসার জামান বাবলার বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন ও টাকা ছড়ানোর অভিযোগ করেন। এসময় তার বিরুদ্ধে বাকি দুই মেয়র প্রার্থীর অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমার টাকাই নেই। কালো টাকা কিভাবে ছড়াবো। যারা অভিযোগ করছে তারাই কালো টাকা ছড়িয়ে ভোট নেওয়ার চেষ্টা করছে।’ এসময় তিনিও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার আশা প্রকাশ করেন।

সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু, কাওসার জামান বাবলা ও মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা

এর আগে শনিবার দুপুরে জেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে কাওছার জামান বাবলার পক্ষে বিজয় দিবস উপলক্ষে একটি শোভাযাত্রা নিয়ে শহীদ মিনারে যান দলটির নেতাকর্মীরা। এ শোভাযাত্রায় অংশ নেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুখ, মহানগর বিএনপির সভাপতি মোজাফফর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মিজু প্রমুখ। শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেন, ‘নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থীরা আচরণবিধি মানছেন না। তারা কালো টাকা ছড়িয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।’ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার ব্যাপারে সংশয় রয়েছে দাবি করে সেনাবাহিনী মোতায়েন করার দাবিও জানান তিনি। যোগাযোগ করা হলে কাওছার জামান বাবলাও বাকি দুই মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে আচরণবিধি অমান্য করার অভিযোগ করেন। একইসঙ্গে নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হলে তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হবেন বলেও দাবি করেন।

এ ব্যাপারে রিটার্নিং অফিসার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘লিখিতভাবে আমাদের কাছে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ কেউ করেনি। তারপরও আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হচ্ছে কিনা তা কঠোর পর্যবেক্ষণের মধ্যে রেখেছি আমরা।’