দুই ঈদ ছাড়া বাড়ি যেতো না নাখালপাড়ায় আত্মঘাতী জঙ্গি ‘জাহিদ’

মেজবা উদ্দিন ওরফে জাহিদ রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়ায় র‌্যাবের জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত মেজবা উদ্দিন ওরফে জাহিদ গত ১৬ বছরে খুব বেশি বাড়িতে যায়নি। কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের বাদুয়ারা গ্রামের বাড়িতে দুই ঈদ ছাড়া তাকে দেখা যেতো না বলে জানিয়েছেন হাসনাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন।

চেয়ারম্যান বলেন,‘মেজবা উদ্দিন বাদুয়ারা গ্রামের এনামুল হকের ছেলে। সে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় বসবাস করছিল। লেখাপড়া শেষ করে ১৬ বছর ধরে ঢাকায় ব্যবসা করে আসছিল মেজবা। তাদের পরিবারকে একটি শান্ত ও ভদ্র পরিবার হিসেবে জানে স্থানীয়রা।’

হাসনাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন আরও  জানান, মেজবা উদ্দিন কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের বাদুয়ারা গ্রামের এনামুল হকের ছেলে। রবিবার (১৪ জানুয়ারি) মেজবা উদ্দিনের জঙ্গি সম্পৃক্ততার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব তার বাবা এনামুল হক, মা তাহমিনা আক্তার, ছোট ভাই মোসলেহ উদ্দিন ও তার স্ত্রীকে বাড়ি থেকে নিয়ে গেছে।

কুমিল্লা মনোহরগঞ্জ থানার ওসি সামছুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘জঙ্গি মেজবাহ উদ্দিনের পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে মরদেহ শনাক্তের জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি।’

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়ার রুবি ভিলার ৫ম তলায় র‌্যাবের জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত হয় মেজবা উদ্দিন। ঘটনাস্থলে জাহিদ নামে দু’টি জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া যায়। পরিচয়পত্র দুটিতে ভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে সঠিক পরিচয় নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয় এবং পরিচয়পত্র ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়। পরবর্তীতে তার প্রকৃত পরিচয় উদঘাটনে অনুসন্ধান শুরু করে র‌্যাব। জাহিদের আঙুলের ছাপ একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিলে যায়। ওই জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তাহার মূল নাম মেজবা উদ্দিন। তার বাবা এনামুল হক ও মা তাহমিনা আক্তার। কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের বাদুয়ারা গ্রামের বাসিন্দা তার পরিবার।