শীতে গতিহীন হিলি স্থলবন্দর

হিলি স্থলবন্দর (ফাইল ছবি)

কত কিছুদিন ধরে কুয়াশায় ঢাকা পড়ে আছে গোটা হিলি। কনকনে ঠাণ্ডা তো আছেই, তার ওপর ঘন কুয়াশা আড়াল করে রেখেছে সূর্য। আচ্ছন্ন হয়ে আছে হিলি স্থলবন্দরও। তীব্র শীতে এ বন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রমও গতিহীন হয়ে পড়েছে। বন্দর সূত্রগুলো জানায়, বর্তমানে ট্রাক থেকে পণ্য ওঠানো-নামানোসহ ডেলিভারি কার্যক্রম বিলম্বিত হচ্ছে।

স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্র জানায়, সাধারণত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে শ্রমিকরা বন্দরে প্রবেশ করেন। এরপর সকাল ১০টা থেকে ট্রাক থেকে পণ্য ওঠানো-নামানো শুরু হয়। কিন্তু বর্তমানে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে শ্রমিকদের বন্দরে প্রবেশে দেরি হয়। বেলা সাড়ে ১১টার আগে শ্রমিকরা বন্দরে আসতে পারেন না। এতে পণ্য ওঠানো-নামানোর পাশাপাশি ডেলিভারি কার্যক্রম গতিহীন হয়ে পড়েছে।

শ্রমিকরা জানান, প্রচণ্ড শীতে কাজ করাটা কঠিন। গরিব বলে বাধ্য হয়ে তারা কাজ করছেন। সকালের দিকে বাইরে বের হলে ঠাণ্ডায় তাদের হাত-পা জমে যায়। তাই তারা সকালে বন্দরে আসতে পারেন না।

বেশ কয়েকজন শ্রমিক জানান, তারা অনেক দূর থেকে বন্দরে কাজ করতে আসেন। সকালে ঘন কুয়াশায় রাস্তাঘাট দেখা যায় না। তাই অন্যান্য সময়ের মতো ভ্যান বা রিকশায় আসতে পারেন না। বন্দরে আসতে আসতে তাদের বেলা ১১টা থেকে ১২টা বেজে যায়।

শ্রমিকরা দাবি করেন, কেবল তারা নন; সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরাও বন্দরে দেরিতে আসেন। তাই সকালে বন্দরে আসলেও তারা (শ্রমিক) কাজ পান না। শ্রমিকরা আরও জানান, কাজ দেরিতে শুরু হওয়ায় তাদের অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়। আগে যেখানে রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে কাজ শেষ করে তারা বাড়ি যেতে পারতেন, এখন সেখানে রাত ১১টা থেকে ১২টা বেজে যায়। এসময় বাড়ি যেতেও তাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়; ভ্যান বা রিকশা পাওয়া যায় না।

হিলি স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গোটা দেশেই এবার শীতের তীব্রতা বেশি। দিনাজপুর, ঠাকুরগাও, পঞ্চগড় এলাকায় দেশের  অন্যান্য জেলার তুলনায় প্রতিবছরই শীত বেশি পড়ে। এবার তো তা মাত্রা ছাড়িয়েছে। বর্তমানে দিনের পর দিন সুর্যের দেখা পাওয়া যায় না। এতে শ্রমিক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের বন্দরে আসতে দেরি হয়। এর প্রভাব পড়ে বন্দরের অন্যান্য কার্যক্রমে।