চাপের মুখে ঘুষের টাকা ফেরত

অবশেষে ঘুষের টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছে বরিশালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের গৌরনদী সার্কেলের সিপাহী বেল্লাল হোসেন। গত ৭ জানুয়ারি গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে সে গৌরনদীর বাটাজোর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য চন্দ্রহার গ্রামের বাসিন্দা অবিনাশ চন্দ্র মিস্ত্রির কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ আদায় করে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়েরের পর উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির হস্তক্ষেপে মঙ্গলবার দুপুরে বেল্লাল হোসেন ঘুষের টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়।

অভিযুক্ত বেল্লাল হোসেননিজেকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা, কখনও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে ঘুষ আদায় করে আসছিল বেল্লাল হোসেন।

সাবেক ইউপি সদস্য অবিনাশ মিস্ত্রি জানান, গত ৭ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বেল্লাল হোসেন একটি ওয়াকিটকি ও হাতকড়াসহ দুই সহযোগীকে নিয়ে তার বাড়িতে উপস্থিত হন। এ সময় তিনি একটি তালিকা দেখিয়ে বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর দফতরের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা। আপনার নামে মাদক বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।

খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন স্থানীয় ইউপি সদস্য শুকুমার শিকারী। তিনি অবিনাশ মিস্ত্রির ব্যাপারে সুপারিশ করেন। তবে তা মানতে নারাজ বেল্লাল হোসেন। বিষয়টি জানাজানি হলে অবিনাশেরই ক্ষতি হবে বলে জানিয়ে দেয় সে।

এক পর্যায়ে অবিনাশ মিস্ত্রিকে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় বেল্লাল হোসেন। পরে খোঁজ নিয়ে বেল্লালের পরিচয় বের করেন ভুক্তভোগী। এ ঘটনায় গত ১০ জানুয়ারি অবিনাশ মিস্ত্রি বাদী হয়ে গৌরনদী থানায় সিপাহী বেল্লাল হোসেন ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

বিষয়টি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক জামালউদ্দিনের হস্তক্ষেপে মঙ্গলবার দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের গৌরনদী সার্কেলের ইন্সপেক্টর শেখ মোস্তাফিজুর রহমানের মধ্যস্থতায় সিপাহী বেল্লাল হোসেন ঘুষের টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর বরিশালের উপ-পরিচালক মলয় ভূষণ চক্রবর্তী বলেন, এ ব্যাপারে আমরা কোনও লিখিত অভিযোগ এখনও পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।