খাগড়াছড়িতে শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে ইউএনও’র অপসারণ দাবি

খাগড়াছড়িখাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে রানী নীহার দেবী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেনসহ অন্যান্য শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণ ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উদ্দিন মুরাদের অপসারণ দাবি করে।
একই ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে। এসময় তারা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে এবং ৪৮ ঘণ্টার  মধ্যে ইউএনএ’র অপসারণ দাবি করেন।
পরে মানিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ম্রাগ্য মারমা ও জেলা পরিষদ সদস্য এম এ জব্বার ছাত্রী-ছাত্রীদের আশ্বস্ত করলে তারা রাস্তা থেকে সরে যায়।
উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উদ্দিন মুরাদ কর্তব্যরত শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণ ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্টরা।।

এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার দিন ইউএনও স্কুলে এসে কর্তব্যরত শিক্ষকদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। শিক্ষকরা কিছুই জানে না,মুর্খ বলেও মন্তব্য করেন ইউএনও।

ঘটনার এতদিন পরে কেন এই প্রতিবাদ, জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, এই বিষয়ে ছাত্রছাত্রীরাই ভালো বলতে পারবে।’

বিক্ষোভের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উদ্দিন মুরাদ বলেন, ‘শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণ করার কোনও কারণ নেই। ভর্তি পরীক্ষা যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, সেজন্য আমি কড়াকড়ি করেছিলাম। তাছাড়া, যদি আমি অসদাচরণ করে থাকি, তাহলে ২২ দিন পরে কেন প্রতিবাদ হবে?’

বিষয়টি নিয়ে মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাইন উদ্দিন খান বলেন, ‘আপনারা সাংবাদিক হিসেবে তদন্ত করলে আসল  বিষয়টি উঠে আসবে।’

মানিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ম্রাগ্য মারমা বলেন, ‘গত বছরের ১৯ নভেম্বর মানিকছড়ি ফরেনার্স চেকপোস্ট উদ্বোধন ও ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাঝে স্পষ্ট দ্বন্দ্ব লক্ষ্য করা গেছে।। এ ঘটনার পেছনেও যে রাজনীতি আছে—তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।’