আহত আবুল কালাম জানান, বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তিনি জংশন বাজারের মক্কা হোটেলে খাবার শেষ করে বের হন। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ও যুবলীগের রাজুর নেতৃত্বে ৮ থেকে ১০ জন হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে জংশন ১৪ নং কলোনির রাস্তায় নিয়ে যায়। এ সময় তারা লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করে লাকসাম জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তিনি আরও জানান, লাকসাম রেলওয়ে জংশনের সিগন্যাল কর্মকর্তা মহসিন মল্লিককে বছরখানেক আগে শাস্তিমূলকভাবে চট্টগ্রাম ট্রেনিং সেন্টারে বদলি করা হয়। কিন্তু কিছুদিন আগে তিনি আবারও লাকসাম জংশনে বদলি হয়ে এসেছেন। এর প্রতিবাদ করে তারা শ্রমিকরা আদালতের দ্বারস্থ হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে মহসিন মল্লিক এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
সিগন্যাল কর্মকর্তা মহসিন মল্লিক অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসমান গণি বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে প্ল্যাটফর্মের বাইরে। তবে ওই কর্মীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।