গ্রেফতার আসামির নাম হারুনুর রশিদ। সে কালাই উপজেলায় মাত্রাই গ্রামের হাবিবুর রহমান মাস্টারের ছেলে। মামলার পলাতক অন্য দুই আসামি একই গ্রামের সবুজ ও পলাশ।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৩ ডিসেম্বর ভোরে দুর্বৃত্তরা কালাইয়ের ওই স্কুলছাত্রীর ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে। পরে ওই ছাত্রীকে হত্যার জন্য কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে পালিয়ে যায়। চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর চাচা বাদী হয়ে কালাই থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে ঢামেক হাসপাতালে তিন মাস ২২ দিন চিকিৎসার পর খানিকটা সুস্থ হয়ে ওঠে ওই ছাত্রী। এসময় সে আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ওই ঘটনায় জড়িত হিসেবে বানদীঘি গ্রামের সবুজ, পলাশ ও হারুনের নাম উল্লেখ করে।
এদিকে, ওই স্কুলছাত্রী কিছু সুস্থ হয়ে উঠলে আসামিরা গ্রাম থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশ একাধিক অভিযানেও তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি। পরে মামলাটি গত বছরের ২২ আগস্ট গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর হয়।
গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনায় জড়িত তিন আসামির মধ্যে হারুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।’ অন্য দুই আসামি সবুজ ও পলাশকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন-
প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে এক ছাত্রের দুই বছরের কারাদণ্ড
মেসেঞ্জারে প্রশ্নপত্র ও উত্তর, দিনাজপুরে ২ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার