নেত্রকোনায় জলমহাল নিয়ে সংঘর্ষে আহত ২০

নেত্রকোনানেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে জলমহাল দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে ১১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে পুলিশ। খালিয়াজুরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হযরত আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে জামাল (৫০), সাবান (৪০), আবু বক্কর (৩৫), নোমান মিয়া (১৮), মামুন (৩০), মজত আলী (৫০), মঙ্গল মিয়া (৫০), মুশফিকুর (২৪), মঞ্জিল (৪৮), মুখলেছ (৩৫) ও বুলবুলকে (২৮) ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের খালিয়াজুরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, খালিয়াজুরীর বেকি বিল নিয়ে ২০১৭ সালের জুন মাস থেকে এলাকার রবিন্দ্র দাস ও স্বপন দাসের মধ্যে মামলা চলছিল। পরে এ ঘটনায় রবিন্দ্র দাসের পক্ষে অবস্থান নেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মমিন তালুকদার ও স্বপন দাসের পক্ষে অবস্থান নেয় ৬ নম্বর গাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান। পরে এই  বিরোধকে কেন্দ্র করে বিলে দু’পক্ষের লোকজনই অবস্থান নেয়। ফলে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা চলছিল। এর জের ধরে বুধবার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়। এসময় পুলিশের দুই কনস্টেবল নাহিদ ও শাহরিয়ার আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে ১১ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মমিন তালুকদার বলেন, ‘এই বিল নিয়ে হাইকোর্টে একটি মামলা রয়েছে এবং নিম্ন আদালত আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছে কিন্তু তারপরও পুলিশ প্রতিপক্ষের সঙ্গে আঁতাত করে আমাদের বিলে নামতে দিচ্ছে না। বুধবার সকালে পুলিশের সহযোগিতায় প্রতিপক্ষ মাছ ধরতে নামলে আমার কয়েকজন লোক বিলে গিয়ে তাদের নিষেধ করলে প্রতিপক্ষের লোকজন আমার গ্রামের পাশে এসে আমার লোকজনের সঙ্গে সংঘর্ষের জড়িয়ে পড়ে।

এ ব্যাপারে জানতে গাজীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শাহজান মিয়া জানান, বিল নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১১ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এছাড়াও আবারও সব ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।