পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইলের ব্যবহার, ২ শিক্ষার্থীর কারাদণ্ড

জয়পুরহাটদাখিল পরীক্ষার কেন্দ্রে মোবাইলে ব্যবহারের দায়ে দুই পরীক্ষার্থীর প্রত্যেককে দুই বছরের করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা সদরের এন এম সরকারি বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে রসায়ন পরীক্ষার সময় এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মোবাইলের ম্যাসেঞ্জারে বাইরে থেকে সরবরাহ করা প্রশ্নের উত্তর দেখে পরীক্ষা দেওয়ার সময় আটক করা হয় তাদের।

পরীক্ষা কেন্দ্র ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। আটক শিক্ষার্থীরা হলো- মিনহাজ ও আল আমিন। তারা দু’জনই পাঁচবিবির ধাপেরহাট দাখিল মাদ্রাসার পরীক্ষার্থী।

পরীক্ষা কেন্দ্র জানা যায়, দাখিলের রসায়ন বিষয়ে পরীক্ষা চলাকালে মোবাইল ম্যাসেঞ্জারে ফাঁসকৃত প্রশ্নের উত্তর দেখে আটককৃতরা পরীক্ষা দিচ্ছিল। সেসময় কক্ষ পরিদর্শক বিষয়টি দেখে কেন্দ্র সচিব দেলোয়ার হোসেনকে জানান। সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্র সচিব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিবুল আলমকে বিষয়টি অবহিত করেন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিবুল আলম কেন্দ্রে এসে ওই দুই শিক্ষার্থীকে হাতেনাতে আটক করে তাদের মোবাইল ফোন জব্দ করেন। পরে ফাঁসকৃত প্রশ্নের উত্তর দেখে লেখার বিষয়টি প্রমাণ হওয়ায় তাদের বহিষ্কারসহ দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন তিনি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার আলীহাট মাদ্রাসার শিক্ষক হুমায়ন কবির জড়িত বলে জানা যায়। এ ঘটনায় তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানানো হয়।

এ ব্যাপারে পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিবুল আলম বলেন, ‘ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে দু’জনকে হাতেনাতে আটক করার পর প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের সাজা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত এক শিক্ষককে গ্রেফতারের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।’