সুন্দরগঞ্জে উপ-নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলেও ভোটার উপস্থিতি কম

সুন্দরগঞ্জের উপ-নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম

উৎসবের-আমেজ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে চলছে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) সকাল ৮টায় একযোগে ১০৯ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হলেও কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের উপস্থিতি ছিল একেবারে কম।

দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত সুন্দরগঞ্জ পৌর এলাকাসহ আশপাশের এলাকার বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে এ অবস্থা দেখা গেছে। তবে ভোট কেন্দ্রগুলোর বাইরে প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল ব্যাপক। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনও ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

১৫ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৫৫৬ জন। ১০৯টি ভোট কেন্দ্রে ভোটাররা বিরতীহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ১০৯ কেন্দ্রের মধ্যে ৮৩ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সুন্দরগঞ্জ পৌর শহরের আবদুল মজিদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও সুন্দরগঞ্জ ডি.ডাব্লিউ ডিগ্রি কলেজ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের উপস্থিতি তেমন নেই। দুই একজন করে ভোটার এসে ভোট দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যাই বেশি। তবে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কেন্দ্রে এসে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরে ভোটাররা খুশি।

সুন্দরগঞ্জের উপ-নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম

আবদুল মজিদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রিজাইটিং অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন,‘সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি কম থাকায় ১৬০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। দুপুরের পর থেকে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে পারে।’ 

রংপুর অঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও গাইবান্ধা-১ আসনের রিটানিং অফিসার জি.এম সাহাতাব উদ্দিন বলেন,‘১০৯ কেন্দ্রে সুষ্ঠু ও উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। ভোটার উপস্থিতি কম হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বাড়বে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট সম্পন্ন করতে নেওয়া হয়েছে চারস্তরের নিরাপত্তাবলায়। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র, দুর্গম ও চরাঞ্চলের কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফল ঘোষণার জন্য স্থানীয় উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।’

গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, ‘চারস্তরে প্রায় ৪ হাজার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। তারমধ্যে ৮ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্য রয়েছে। সুষ্ঠ ভাবেই ভোট গ্রহণ চলছে কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এছাড়াও ২৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও চারজন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।

এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রয়াত এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের বড় বোন আফরুজা বারী ও লাঙল প্রতীক নিয়ে প্রার্থী ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি, আম প্রতীক নিয়ে ন্যালনাল পিপলস পার্টির জিয়া জামান খাঁন ও মাছ প্রতীক নিয়ে গণফ্রন্টের শরিফুল ইসলাম।

২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর আতোতায়ির গুলিতে নিহত হন ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। পরে ২০১৭ সালের ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন গোলাম মোস্তফা আহমেদ। কিন্তু তিনিও সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলে আবারও শুন্য হয় আসনটি।

আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে পাচারকারীসহ ৪০ নারী-পুরুষ ও শিশু আটক