তারা প্রায় ঘণ্টাখানেক প্রিয়কের বাড়িতে অবস্থান করেন। তারা মেহেদী হাসানের বাবা তোফাজ্জল হোসেন, এ্যানির বাবা সালাহ্ উদ্দিন মাহমুদ খসরুর সঙ্গে কথা বলেন। এসময় প্রিয়কের মা ফিরোজা খাতুন বাড়িতে ছিলেন না। তিনি বিমান বিধ্বস্তে আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পুত্রবধূ আলমুন নাহান এ্যানি, ভাতিজা মেহেদী হাসান ও তার স্ত্রী সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণাকে দেখতে গিয়েছিলেন।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, ‘নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত প্রিয়ক ও তার ছোট্ট মেয়ে প্রিয়ংময়ী তামাররার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে এসেছি। ইউএস-বাংলা পর্যায়ক্রমে বিধ্বস্ত বিমানের সব যাত্রী, পাইলট ও ক্রুদের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আহত অবস্থায় যারা আছেন, তাদের যাবতীয় সুচিকিৎসার ব্যবস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ করবে।’
মরদেহগুলো দেশে আনতে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী সোমবারের (১৯ মার্চ) পর বলা যাবে মরদেহগুলো কবে আসবে। নেপালের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মরদেহগুলোর যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নেপাল পুলিশের কাছে হস্তান্তর করবে। পরে পুলিশ নেপালের বাংলাদেশ দূতাবাসে মরদেহ বুঝিয়ে দিলে দূতাবাস বাংলাদেশের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করবে। পরে বাংলাদেশের পুলিশের কাছ থেকে লাশগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’