শুক্রবার (২৩ মার্চ) বিকালে গাজীপুরে শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষা ফাউন্ডেশন আয়োজিত কৃতি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার বিকল্প শুধুমাত্রই শেখ হাসিনা, আর নৌকার বিকল্প শুধু মাত্রই নৌকা। নির্বাচনে নৌকাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে বর্তমান উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলে আলোকিত এই বাংলাদেশ আরও বেশি আলোকিত হবে। আমাদের স্বপ্নের ২০২১ বাস্তবায়ন হবে এবং ২০২১-এ মধ্যম আয়ের দেশে আমরা পরিণত হতে পারবো। আমরা দুর্নীতিগ্রস্ত দেশে পরিণত হবো না।’
তিনি বলেন, ‘গাজীপুরকে মেট্রোপলিটন সিটি ঘোষণা করা হয়ে গেছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন আইন সংসদে উত্থাপিত হয়েছে এবং সংসদীয় কমিটি থেকে রিপোর্টও দেওয়া হয়েছে। পার্লামেন্ট যেদিন শুরু হবে তার কয়েক দিনের মধ্যেই এটা পাস হয়ে যাবে।’
জনদুর্ভোগের কথা বলে বিএনপিকে ঢাকায় সমাবেশের অনুমতি না দেওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশ কমিশনার যখন মনে করেন যে, সেখানে কোনোধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি হতে পারে, কিংবা কোনোরকম আশঙ্কা থাকে, তখনই তারা মিটিং করা থেকে বিরত থাকতে বলেন। এর মানে এটি নয় যে, তাদের কোনোদিন আর মিটিং করতে দেবে না। তারা যেদিন সময় চেয়েছে, তার বদলে আরেক দিন তাদের করতে দেওয়া হবে।’
জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেক এমপি আখতারউজ্জামান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. হারুন অর রশিদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. গিয়াস উদ্দিন, ডুয়েটের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আলাউদ্দিন, গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা অ্যাডভোকেট মো. শফিকুল ইসলাম বাবুল, অ্যাডভোকেট ওয়াজ উদ্দিন মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ নয়ন, আতাউল্লাহ মণ্ডল, এসএম মোকছেদ আলম, অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন মহি প্রমুখ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা যেভাবে এগিয়ে চলেছি, আমাদের উন্নয়নের মহাসড়ক যেভাবে চলছে, আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে কেবল উন্নয়নশীল দেশই হইনি, আমরা আমাদের নিজস্ব বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কিছু দিনের মধ্যে মহাকাশে উৎক্ষেপন করতে পারবো। আমাদের মেট্রোরেল দৃশ্যমান হয়ে গেছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেস দৃশ্যমান হচ্ছে। পদ্মাসেতু আমাদের গর্ব। এই সেতুর জন্য কারও কাছে আমাদের হাত পাততে হয়নি। আমরা সেই জাতি—আমরা মাথা উঁচু করে চলতে পারি। আমরা এখন কারও কাছে সহযোগিতা চাই না।’
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী কয়েকজন কৃতি শিক্ষার্থীর মাঝে বৃত্তির চেক তুলে দেন। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।