অর্থ আত্মসাতের মামলায় ২ দিনের রিমান্ডে রূপালী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক

জোবায়েনুর রহমানবগুড়ায় রূপালী ব্যাংক লিমিটেড মহাস্থান শাখার আড়াই কোটির অধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার সাময়িক বরখাস্ত ব্যবস্থাপক জোবায়েনুর রহমানের দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  দুদক বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক রবীন্দ্রনাথ চাকী বুধবার দুপুরে ৭ দিনের রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলাম এ আদেশ দেন।  

তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, ‘জোবায়েনুর রহমান রূপালী ব্যাংক মহাস্থান শাখার ব্যবস্থাপক ছিলেন। তিনি গত বছরের ৬ এপ্রিল থেকে ৯ এপ্রিলের মধ্যে ৭টি ভুয়া পে-অর্ডারের মাধ্যমে শাখা থেকে দুই কোটি ৬৯ লাখ এক হাজার ৮০১ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন মহাস্থান হাটের ইজারাদার মেসার্স আজমল ট্রেডার্সের মালিক আজমল হোসেন। জোবায়েনুর রহমান গত ৪ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার পর চা পানের নামে শাখা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন। ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার আবদুল মজিদ সদর থানায় জিডি করেন। ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ের চার সদস্যের কমিটি, ব্যাংক অডিট টিম ও বিভাগীয় কার্যালয়ের আরেকটি অডিট টিম তদন্ত করে উল্লিখিত অঙ্কের টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকের ডিজিএম সরদার হাবিবুর রহমান গত ৭ ফেব্রুয়ারি সদর থানায় জোবায়েনুর রহমান ও আজমল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ আজমল হোসেনকে গ্রেফতার করলেও তিনি আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পান। পরে মামলাটি দুদক বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়। এর আগেই পলাতক থাকায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে জোবায়েনুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’

এদিকে র‌্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের সদস্যরা গোপনে খবর পেয়ে ১৩ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শরীয়তপুর জেলা সদরের চিকনদি ইউনিয়নের আটাপাড়া গ্রামের একটি মাজার থেকে জোবায়েনুরকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তার মাধ্যমে বগুড়া জেলা হাজতে পাঠানো হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ চাকী বলেন, ‘আদালতে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে বিচারক দু’দিনের মঞ্জুর করেছেন। এছাড়া তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করেন।’