নির্বাচনে আসুন, ফলাফল যাই হোক মেনে নেব: পানিসম্পদমন্ত্রী

888

পানিসম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি বলেছেন, ‘নির্বাচনে আসুন , ফলাফল যাই হোক মেনে নেবো। পবিত্র মন নিয়ে নির্বাচনে আসুন, কোনও নীলনকশা নিয়ে আসবেন না। আমাদের দেশের সমস্যা হলো আমরা নিজেরা আইন-কানুন মানতে চাই না। কিন্তু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে তার জন্য আইন-শৃঙ্খলাকারীদেরই দায়ী করি। এ অবস্থা আর চলতে পারে না। এখন রাজনীতি হবে কাজের রাজনীতি। আমাদের কথাবার্তা ও আচরণে এমন কোনও অহংকার দেখানো যাবে না, যাতে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন।’ তিনি শুক্রবার বিকালে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় জাতীয় যুব সংহতির ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ভাণ্ডারিয়া বন্দরে জাতীয় পার্টির (জেপি) দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, ‘আমরা যদি দেশের মানুষের জন্য কাজ করে থাকি এবং দেশের মানুষকে ভালোবেসে থাকি, তাহলে তারাই এর মূল্যায়ন করবে। প্রধানমন্ত্রী ডিসেম্বরে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। সংবিধান অনুযায়ী এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে হারজিত আছে। তবে বিরোধীদের রণকৌশল সম্পর্কে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’

পানিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘যারা ঐক্যমতের সরকারের বাইরে তারা কখনও বলে নির্বাচনে আসবো, আবার কখনো বলে আসবো না, আবার বলে ওমুককে ছেড়ে দিলে আসবো, তমুককে না ছাড়লে আসবো না। সেনাবাহিনী না হলে আসবো না। অর্থাৎ তারা এখন পর্যন্ত যুদ্ধে যাওয়ার জন্য তৈরিই না। তাই বাহানা করছেন ’

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু কোনও দলের নাম উল্লেখ না করে বলেন, ‘তারা নির্বাচনে আসলো মনোনয়নপত্র জমা দিল। আবার নির্বাচনের দিন আবহাওয়া ভালো ছিল না বলে নির্বাচনের মাঠ থেকে চলে যেতে পারে। বাংলাদেশে ৩শ’ আসনে ১ লাখ ৫০ হাজারের উপরে ভোটকেন্দ্র হবে। এরমধ্যে উস্কানি দিয়ে ৫০- ৩০টির বেশি ভোটকেন্দ্রে হামলা হতে পারে। এরপর তারা নির্বাচন রক্তাক্ত হয়েছে বলে বর্জন করতে পারে।’

পানিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি দীর্ঘ সংগ্রাম ও লড়াইয়ের পর কোনও দল ক্ষমতায় আসলে সেই দলের কর্মীদের কিছু না কিছু প্রাপ্য থাকে। কিন্তু কর্মীদের আগে ১৭ কোটি মানুষের প্রাপ্যের কথা চিন্তা করতে হবে। গুটিকয়েক মানুষ লুটপাট করে খাবে আর ভাণ্ডারিয়ার মানুষ বঞ্চিত হবে, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সে জন্য ভান্ডারিয়ায় আসে নাই। ’

তিনি তার নির্বাচনী এলাকা পিরোজপুর-২ আসন সম্পর্কে বলেন, ‘অন্য কোনও উপজেলার মতো ভাণ্ডারিয়া, কাউখালী ও ইন্দুরকানিতে অনিয়ম করতে দেওয়া হবে না।’