কেসিসি নির্বাচন: ইশতেহারে প্রাধান্য পাবে জলাবদ্ধতা ও যানজট

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনখুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে প্রার্থীরা এখন ব্যস্ত আছেন নির্বাচনি ইশতেহার প্রস্তুত করতে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দু’দলের মেয়র প্রার্থীদের ইশতেহারে প্রাধান্য পাচ্ছে জলাবদ্ধতা, যানজট নিরসন, মশক নিধন, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ খাল দখলমুক্ত করা, রাস্তাঘাট নির্মাণসহ নানা বিষয়। এ কাজে নাগরিক নেতাদের পরামর্শও নিচ্ছেন তারা। মূলত প্রতীক বরাদ্দের পরই ইশতেহার ঘোষণার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক প্রচারে নামবেন মেয়র প্রার্থীরা।

২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ২৪ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছিলেন। ওই ইশতেহারে নাগরিক পরামর্শ সভা, সিটি করপোরেশনকে দুর্নীতিমুক্ত করা, রাস্তাঘাট উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণ, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জলাবদ্ধতা দূর করা, শিক্ষার সম্প্রসারণ, আইটি ভিলেজ স্থাপন, টাউন সার্ভিস চালু, ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন গুরুত্ব পায়। এবারের ইশতেহারেও এগুলোসহ কিছু নতুন বিষয় স্থান পাবে বলে জানা গেছে। যা ভোটারদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে।

বিএনপি প্রার্থীর ইশতেহার তৈরির কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে। বর্তমান মেয়র ও নগর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি ইশতেহার তৈরির কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ২০১৩ সালের নির্বাচনে মনি তার ইশতেহারে ২১টি দফা ঘোষণা দিয়েছিলেন। ওই ইশতেহারের মতো এবারও নাগরিক পরিকল্পনার প্রবর্তন, গুণীজন সংবর্ধনা, সড়ক উন্নয়ন ও বর্জ্য, বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন, ক্ষুদ্র যানবাহনের লাইসেন্স প্রদান, সিটি করপোরেশন এলাকা সম্প্রসারণ, শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নয় ঠাঁই পাচ্ছে। পাশাপাশি নতুন কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।

খালেক বলেন,  ‘আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার তৈরির কাজ এগিয়ে চলছে। আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হলেই আমরা নাগরিকদের কাছে ইশতেহার তুলে দেব। খুলনার মানুষের প্রাণের দাবিগুলো ইশতেহারে স্থান পাবে।’

মঞ্জু বলেছেন,  ‘প্রচার শুরুর প্রথমদিন ইশতেহার ঘোষণা করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইশতেহারে চমক থাকবে। এজন্য আমাদের নেতারা সার্বক্ষণিক কাজ করছেন।’

আরও পড়ুন:

কেসিসি নির্বাচন: সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৪১ জনের মধ্যে ২৯ গৃহিণী

কেসিসি নির্বাচন: প্রতীক বরাদ্দের আগেই প্রার্থীদের প্রচারণা, ইসি’র উদ্বেগ