ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে লঞ্চের কেবিন বুকিং চলছে

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল (ছবি: ফোকাস বাংলা)ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বরিশল-ঢাকা-বরিশাল নৌ-রুটের লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিসের কেবিনের আগাম বুকিং নেওয়া শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) থেকে বুকিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বছরের অন্যান্য সময় থেকে স্পেশাল ট্রিপের ভাড়া ২৫-৩৫ ভাগ বেশি ভাড়া নেওয়া হয় বলে যাত্রীরা জানিয়েছেন। লঞ্চ মালিকদের দাবি, বছরের অন্য সময় ভাড়া কম নেওয়া হয়। সেই ঘাটতি পূরণ করতে ঈদের সময় বেশি নেওয়া হয়।

কেবিন বুকিং সংক্রান্ত নোটিশ বিভিন্ন লঞ্চ কাউন্টারে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ রমজান পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন লঞ্চ মালিকরা। বরিশাল ও ঢাকার লঞ্চের কাউন্টারে জমা দিয়ে টিকিট বুঝে নিতে হবে। তবে যাত্রীরা কবে নাগাদ টিকিট পাবেন তা এখনও জানানো হয়নি।

বরিশালের লঞ্চ কাউন্টারগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার থেকে কেবিনের আবেদন স্লিপ জমা নেওয়া শুরু করেছে ক্রিসেন্ট শিপিং লাইন্সের সুরভী লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। চলবে ১০ রমজান পর্যন্ত। প্রাইম নেভিগেশনের সুন্দরবন লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ১০ রমজান (২৭ মে) থেকে ১৫ রমজান (১ জুন) পর্যন্ত আবেদন নেবে। এছাড়া  অ্যাডভেঞ্চার লঞ্চ কর্তৃপক্ষও কেবিন বুকিং-এর আবেদন নেবে। এর বাইরে কীর্তনখোলা, পারাবাত, টিপু, কালাম খান, কামাল, ফারহানসহ বরিশাল-ঢাকা রুটের বাকি লঞ্চগুলোর টিকিট আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে সরাসরি যাত্রীদের মাঝে বিক্রি করা হবে বলে জানা গেছে। তবে এসব লঞ্চ-কেবিনের জন্য টিকিট বিক্রি কবে থেকে শুরু হবে সে বিষয়ে এখনও বলা হয়নি।

সুরভী লঞ্চের মালিক রেজিন মাওলা জানান, তারা কেবিনের বুকিংয়ের জন্য আবেদন নিতে শুরু করেছেন। টিকিট বিতরণের তারিখ নির্ধারণ না হলেও যারা টিকিট পাবেন তাদের ফোনে জানিয়ে দেওয়া হবে।

সুন্দরবন নেভিগেশনের পরিচালক আকিদুল ইসলাম আকেজ জানান, আগামী ৫ জুন থেকে যাত্রীদের মাধ্যে টিকিট বিতরণ শুরু করা হবে। কেবিনের ধারণ ক্ষমতা থেকে চাহিদা কয়েকগুণ বেশি থাকায় লটারির মাধ্যমে যাত্রীদের টিকিট দিতে হয়। এজন্য সবাই টিকিট পাবেন না।