মেজর শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার জানান, ‘নাফ নদী দিয়ে ইয়াবার একটি চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আনা হবে বলে তথ্য পায় বিজিবি। এই তথ্যের সূত্র ধরে হোয়াইক্যং সীমান্ত চৌকির আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহল দল অভিযানে যায়। নৌকাটি নাফ নদীর জলসীমা অতিক্রম করে তীরের কাছাকাছি এলে বিজিবির টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ করে। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা নৌকাসহ পালানোর চেষ্টা করলে বিজিবির টহল দল স্পিডবোট নিয়ে তাদের ধাওয়া করে। একপর্যায়ে চোরাকারবারিরা নৌকাটি ফুটো করে দেয়। নৌকায় থাকা তিনজন লোক নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতরে মিয়ানমারের জলসীমায় চলে যায়। পরে টহল দল নদীতে ভেসে যাওয়া কাপড়ের ২৪টি বস্তা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। ওই কাপড়ের বস্তার ভেতর থেকে তিন কোটি টাকার এক লাখ পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, ওই নৌকা থেকে নারীদের স্কার্ট ১ হাজার ১৬৩টি, লুঙ্গি ৮৫৪টি, থামি ১ হাজার ৫১৪টি, ছেলেদের গেঞ্জি ২৬০টি, ওড়না ৯৮টি, শিশুদের জামা ৫৮টি, থান কাপড় ৩০০ গজসহ মিয়ানমার থেকে আসা বিভিন্ন ধরনের মালামাল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো ব্যাটালিয়ান সদর দফতরে ও অন্যান্য মালামাল টেকনাফ কাস্টমস শুল্ক বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে।