শেরপুরে কাটাখালি-রাঙ্গামাটিয়া যুদ্ধ দিবস পালিত

শেরপুর

শেরপুরে বিস্তারিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কাটাখালি-রাঙ্গামাটিয়া যুদ্ধ দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার (৬ জুলাই) দুপুরে স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত শহীদ নাজমুল আহসান, তার সহযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি  ছিলেন নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুস সামাদ।

জেলা প্রশাসন, মুক্তিসংগ্রাম জাদুঘর, শেরপুর সদর উপজেলা নেটওয়ার্ক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আমরা ১৮ বছর’ এর আয়োজনে শেরপুর-ঝিনাইগাতী সড়কের কাটাখালি সেতু এলাকায় এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।

১৯৭১ সালের ৫ জুলাই রাতে শেরপুর-ঝিনাইগাতী সড়কের কাটাখালি সেতুতে অপারেশন শেষে ৬ জুলাই ঝিনাইগাতীর রাঙ্গামাটিয়া গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাক হানাদার বাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এতে কোম্পানি কমান্ডার নাজমুল আহসান ও তাঁর পরিবারের দুই সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন ও মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেনসহ ১২ জন শহীদ হন। ওই সময় হানাদার বাহিনী অর্ধ-শতাধিক ঘরবাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেয় এবং নারীদের ধর্ষণ করে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ‘অপারেশন কাটাখালি ও রাঙ্গামাটিয়া’র যুদ্ধ এক অনন্য স্থান দখল করে আছে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে কাটাখালি-রাঙামাটিয়া যুদ্ধে নিহত শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদদের নাম ও ঘটনার বর্ণনা সম্বলিত স্মৃতিফলক উন্মোচন করেন সচিব আব্দুস সামাদ।

জেলা প্রশাসক মল্লিক আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম, মুক্তিসংগ্রাম জাদুঘরের পরিচালক উৎপল কান্তি ধর,  মুক্তিসংগ্রাম জাদুঘর, শেরপুর সদর উপজেলা নেটওয়ার্কের সভাপতি রাজিয়া সামাদ, নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, মুক্তিযোদ্ধা আয়শা খাতুনের ছেলে আশরাফ আলী, শহীদ নাজমুল আহসানের ছোট ভাই সদরুল আহসান, সহযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল গনি, নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল হালিম প্রমুখ।