বঙ্গবন্ধুর নাম বিকৃতির প্রতিবাদে বেরোবির প্রশাসনিক ভবনে তালা

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিচ্ছেন এক ছাত্রলীগ নেতাজাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নাম বিকৃত করে চিঠি দেওয়ার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ হোসেন পটোয়ারীকে বরখাস্ত করার দাবিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সোমবার (৯ জুলাই)রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রশাসনিক ভবন থেকে সব কর্মকর্তা কর্মচারীকে বের করে ভবনের দুই প্রধান গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এরপর দায়ি প্রকৌশলীকে বরখাস্তের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রলীগ।

বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা জানান,ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। এরপর প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমাবেশ করে তারা। সেখানে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু হল ছাত্র লীগের সভাপতি পমেল বড়ুয়া, শহীদ মোখতার এলাহী হল ছাত্র লীগের সভাপতি হাসান আলীসহ অন্যান্য নেতারা।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে ছাত্রলিগের প্রতিবাদ

সমাবেশে ছাত্রলীগ নেতারা অভিযোগ করেন,গত ৪ জুলাই বঙ্গবন্ধু হল ও শহীদ মোখতার এলাহী হলে বৈদ্যুতিক কাজের জন্য দুজন ইলেকট্রিশিয়ানকে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ হোসেন পাটোয়ারী স্বাক্ষরিত দুটি চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে বঙ্গবন্ধুর নাম বিকৃত করা হয় এবং একইভাবে রংপুরের মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মোখতার এলাহীর নামও বিকৃত কর হয়। এতে ছাত্র লীগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর নামের বিকৃতি সংশোধন করে পুনরায় চিঠি দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। তার পরেও তিন দফায় চিঠিতে বঙ্গবন্ধুর নাম বিকৃতভাবে লেখা হয়। এ কারণে ওই প্রকৌশলীকে বরখাস্ত করার দাবি জানানো হলে ওই প্রকৌশলী ছাত্র লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়েরের হুমকি দেন। এতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্ষেপে গিয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রকৌশলী শরীফ হোসেন পটোয়ারীর বরখাস্তের দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম ফরিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রকৌশলী জাতির জনকের নাম বিকৃত করে চরম অন্যায় করেছেন। এ ঘটনার তদন্ত করে তিনি দায়ি প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।