শনিবার পাবনা পৌঁছে ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের’ দ্বিতীয় ইউনিটে প্রথম কংক্রিট ঢালাই কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বিকালে পাবনা পুলিশ লাইন্স মাঠে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে পাবনায় এখন সাজ সাজ রব। ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ব্যানার, ফেস্টুন, আলোকজসজ্জা আর তোরণে পাবনা সেজেছে নতুন সাজে। পাবনা সার্কিট হাউজ, পুলিশ লাইন্স মাঠে সৌন্দর্য বর্ধনসহ চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মাঝে বিরাজ করছে উৎসাহ-উদ্দীপনা। নির্বাচনকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রী আরও নতুন উন্নয়নের ঘোষণা দেবেন বলে আশা পাবনাবাসীর।
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর পাবনা সফর ঘিরে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। দলীয় প্রধানের জনসভা সফল করতে আমরা জেলা, উপজেলা আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভা করে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। জনসভায় এসে মানুষ যেন কোনও দুর্ভোগে না পড়েন তার জন্য পর্যাপ্ত পানি ও টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘প্রকল্পের গুরুত্ব বোঝাতে প্রধানমন্ত্রী বারবার পাবনায় আসছেন। ইতোমধ্যে তিনবার তিনি পাবনা সফর করেছেন। আগামীতে আরও কয়েকবার আসবেন। এর মাধ্যমে নতুন উচ্চতায় আসীন হবে বাংলাদেশ। প্রথম চুল্লির কাজ শুরুর এক বছর পর দ্বিতীয় চুল্লির কাজ উদ্বোধন করার কথা। সেখানে আমরা মাত্র সাত মাস পরই দ্বিতীয় চুল্লির ঢালাই কাজ শুরু করতে যাচ্ছি। তার মানে এই প্রকল্পের যে সময় তার মধ্যেই আমরা কাজ শেষ করতে পারবো।’
জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন ও পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও জনসভা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সে লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষের দিকে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ নভেম্বর ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প’র প্রথম চুল্লি প্রথম কংক্রিট ঢালাইর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।