সোমবার (১৬ জুলাই) সকালে নীলফামারী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘এতো প্রাকৃতিক ক্ষতির মধ্যেও রোহিঙ্গা সমস্যা রয়েছে। তাদের স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য, চিকিৎসা, বস্ত্রসহ নানা বিষয়ে সরকার খেয়াল রাখছে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মন্ত্রী বলেন বলেন, ‘বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংস্কার ও রক্ষা করতে পারলে শতকরা ৭৫ ভাগ বন্যা থেকে রক্ষা পাবে এলাকার মানুষ। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ রিলিফ চায় না, তারা বাঁধ রক্ষা চায়। এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।’
নীলফামারীর ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা এই তিন উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা আছে বলে জানান তিনি। বন্যার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে ওই তিন উপজেলায় ৬০০ বান্ডিল টেউটিন, দুই হাজার কেজি শুকনা খাবার, ২০০ মেট্রিক টন চাল ও ইঞ্জিনচালিত ছয়টি নৌকা বরাদ্দ করেন মন্ত্রী। এছাড়াও ঘর নির্মাণ বাবদ ১৮ লাখ টাকা দেওয়ার প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বিশেষ সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল, নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাফ উদ্দিন সরকার, ৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন, নীলফামারী পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহম্মেদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুজার রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন ভূইয়া, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালেব প্রমুখ।
নীলফামারীতে সফর শেষে রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্দা সফর করবেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন- কোনও চিকিৎসক মিথ্যা সনদ দিলে জেল-জরিমানা