ইবিতে নিয়োগ বাণিজ্যে অভিযুক্ত শিক্ষকদের অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি







ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সেই দুই শিক্ষককে তাদের অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তদন্তে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে তাদের সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৬ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফের সই করা পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ থাকা অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বরাবর পাঠানো প্রজ্ঞাপন বার্তায় জানানো হয়, গত ১২ জুলাই ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের নিয়োগে প্রার্থী ফারজানা ও তার স্বামী মামুনের সঙ্গে তার (আজাদ) কথপোকথনের অডিও ফাঁস হওয়া এবং বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের জেরে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে তাকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্টের দ্বায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হলো। এখন থেকে প্রভোস্টের দায়িত্ব পালন করবেন ওই হলের হাউজ টিউটর ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. বখতিয়ার হাসান।
পৃথক আরেক প্রজ্ঞাপনে একই অভিযোগে বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুলকে টিএসসিসি’র পরিচালকের দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে আরও জানানো হয়, তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: ইবিতে নিয়োগ বাণিজ্যের অডিও ফাঁস!

গত বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চারটি প্রভাষক পদে নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে প্রার্থী ও তার স্বামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ ও বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুলের সঙ্গে ২০ লাখ টাকা চুক্তি করে। তবে চুক্তি অনুযায়ী চাকরি না হওয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে যে কথোপকথন হয়, সেটির অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়ে যায়। এ সংক্রান্ত খবর বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত হয়। গতকাল রবিবার (১৫ জুলাই) এই নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী।