হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি মো. হারুন উর রশীদ হারুন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, পদ্মাসেতু ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রচুর পাথর আমদানি হচ্ছে। এছাড়া দেশের বাজারে চালের দাম অস্থিতিশীল হয়ে ওঠার কারণে বন্দর দিয়ে চালও আমদানি হয়। এসব কারণে বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের পরিমাণ আগের তুলনায় বেড়েছে। তবে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে মূলত পেঁয়াজ, চাল, গম, ভুট্টা, খৈল, ভুষি, কাঁচামরিচসহ বেশির ভাগই খাদ্যদ্রব্য আমদানি হয়ে থাকে। তিনি বলেন, ‘হিলি স্থলবন্দর থেকে আরও বেশি রাজস্ব সংগ্রহ সম্ভব হবে যদি বন্দরের কিছু সমস্যা সমাধান করা যায়। বিশেষ করে বন্দরের প্রধান সড়কটি সরু থাকার কারণে বন্দরে যানজট লেগেই থাকে। এ কারণে সঠিক সময়ে ভারত থেকে ট্রাকগুলো বন্দরে ঢুকতে পারে না। আবার বন্দরে প্রবেশের পরেও যানজটের কারণে ট্রাক দেরিতে বন্দর থেকে বের হয়। এতে অতিরিক্ত মাশুল গুনতে হয়। এছাড়া সামান্য বৃষ্টিতেই স্থলবন্দর এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় আমদানি পণ্য নষ্ট হয়। এসব সমস্যা সমাধান হলে আমদানি-রফতানি আরও বাড়বে।’
বাংলাহিলি কাস্টম সিএন্ডএফ এজেন্ট আ্যসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান লিটন বলেন, হিলি স্থলবন্দরের সঙ্গে ভারতের পশ্চিবঙ্গের কলকাতাসহ অন্য এলাকার রেলপথ ও সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানের আমদানিকারকরা এই স্থলবন্দর ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। এ কারণে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাড়ছে। তিনি বলেন, ‘বন্দরের ভেতরে ওয়্যার হাউসের সংখ্যা বৃদ্ধি, সড়ক চারলেনে উন্নীত এবং বন্দরে একটি ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ করা হলে বন্দর থেকে রাজস্ব আয় আরও বাড়বে।’