হ‌ুমায়ূন স্মরণে যেসব আয়োজন নুহাশপল্লীতে

হ‌ুমায়ূন আহমেদ, ছবি- শাকুর মজিদজননন্দিত লেখক হ‌ুমায়ূন আহমেদের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই)। ২০১২ সালের এদিনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দিনটি উপলক্ষে গাজীপুরের পিরুজালী এলাকার নুহাশপল্লীতে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

নুহাশপল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল জানান, ‘হ‌ুমায়ূন আহমেদের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার পবিত্র কোরআনখানি, বাদ জোহর মিলাদ মাহফিল ও তবারক বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে। এতে ভক্ত-অনুরাগী ছাড়াও আশপাশের মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবেন।

তিনি আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার মধ্যে নুহাশপল্লীতে হাজির হবেন হ‌ুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন। সঙ্গে থাকবে দুই ছেলে নিনিত ও নিষাদ। তারা হ‌ুমায়ূন আহমেদের কবরের পাশে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করবেন। এদিন লেখক-প্রকাশক ও অনুরাগীরা নুহাশ পল্লীতে আসবেন। হ‌ুমায়ূন আহমেদকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য হিমু পরিবহনে কমপক্ষে ৬০ সদস্যের একটি দলও নুহাশপল্লীতে আসবে।’

সাইফুল ইসলাম বুলবুল আরও জানান, মৃত্যুবার্ষিকীতে নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় হ‌ুমায়ূন আহমেদের হাতেগড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠেও প্রায় একই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এদিন বিদ্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন, প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শোভাযাত্রা, আলোচনা-সভা, কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছেন কর্তৃপক্ষ।

১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জন্মগ্রহণ করেন কথাশিল্পী, নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হ‌ুমায়ূন আহমেদ। ২০১১ সালে তার অন্ত্রে ক্যানসার ধরা পড়ে। ২০১২ সালের মাঝামাঝি সময় যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার করা হয়। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ২৪ জুলাই তার মরদেহ ঢাকায় এনে গাজীপুরের পিরুজালী গ্রামের নুহাশ পল্লীর লিচুতলায় চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।