‘মাদকের গডফাদারদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রেখে নতুন আইন হচ্ছে’

বক্তব্য রাখছেন ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ (ছবি- প্রতিনিধি)

মাদকের গডফাদারদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রেখে নতুন আইন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ। তিনি বলেন, ‘১৯৯০ সালের মাদক আইনে অনেক দুর্বলতা আছে। তখন ইয়াবা ছিল না, গডফাদারদের ধরার আইনও ছিল না। এসব যুক্ত করে নতুন আইন হচ্ছে। নতুন আইনে গডফাদারদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রাখা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এটা উপস্থাপন করা হবে।’

শনিবার (২১ জুলাই) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন। ওই সভায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতর, কারা কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের কর্মকরতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ।

ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ বলেন, ‘যারা মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে তারা কোনও না কোনোভাবে প্রভাবশালী। তাদের মাধ্যমেই ছড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসা। মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, এটি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ।’

এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মাদকবিরোধী অভিযান চলবে। যতদিন একটা সাসটেইনেবল লেভেলে না পৌঁছাবে, ততদিন এটা চলবে। এক্ষেত্রে যৌথ অভিযানের নির্দেশনাও আছে।’

ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ বলেন, ‘মাদক মূলত মিয়ানমার থেকে আসে। আমরা ১৯৯৪ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে বসেছিলাম। তারপর থেকে আমাদের সঙ্গে তারা বসতে চায় না। ১৯৯৪ সাল থেকে এপর্যন্ত আমাদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে তাদের ৩ দফা বৈঠক হয়েছে। সেখানেও আমরা ইয়াবা বন্ধের বিষয়ে বিভিন্ন প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম, তারা কোনও কাজ করেনি।’

তিনি বলেন, ‘ইয়াবার চোরাচালান বন্ধে মিয়ানমার সীমান্তে কিছু কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সীমান্তে বিভিন্ন ডিভাইস বসানো, বর্ডার লক করে দেওয়াসহ এসব সিদ্ধান্ত খুব শিগগির কার্যকর করা হবে।’

সভায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা, নগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগমসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।