ঘরের মেঝেতে মায়ের, খাটে শিশুর গলাকাটা লাশ

পাবনা

ঘরের মেঝেতে গলাকাটা অবস্থায় পড়েছিল মা রুশী খাতুনের (২৫) লাশ, আর খাটে পড়েছিল তার দুই বছরের ছেলে রোহানের প্রাণহীন দেহ। শনিবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যায় পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বোরোগীপাড়া গ্রামের এক বাড়ি থেকে এভাবেই উদ্ধার হয়েছে মা-ছেলের গলাকাটা লাশ। পাবনা সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ইবনে মিজান এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

রুশী খাতুন চরতারাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বোরোগীপাড়া গ্রামের সুজন আলীর স্ত্রী। তিনি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিলেন। তার স্বামী সুজন মাছ ব্যবসায়ী।

সহকারী পুলিশ সুপার ইবনে মিজান জানান, আজ বিকালের পর থেকে ওই বাড়ির ভেতর থেকে রুশী খাতুনের কোনও সাড়াশব্দ পাচ্ছিলেন না স্বজন ও প্রতিবেশীরা। এতে তারা রুশী খাতুনের নাম ধরে ডাকতে ডাকতে একপর্যায়ে ভেজানো দরজাটা খুলেন। এরপরই দেখতে পান, ঘরের মেঝেতে মায়ের ও খাটে তার শিশু-সন্তানের গলাকাটা লাশ পড়ে আছে। এসময় নিহতের স্বামী সুজন আলী বাড়িতে ছিলেন না। পরে প্রতিবেশীরা থানায় খবর পাঠালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দু’টি উদ্ধার করে। এসময় লাশের পাশে একটি ধারালো চাকুও পাওয়া যায়।

ইবনে মিজান আরও বলেন, ‘এটি হত্যাকাণ্ড না আত্মহত্যা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দু’টি পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বামী সুজন আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে আনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।