পুলিশ সুপার নুর আমল বলেন, ‘পিন্টু দেবনাথ এর আগে তার আরও এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রবীর চন্দ্র ঘোষ হত্যা মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। স্বপন কুমার সাহাও পিন্টুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন।’
আদালতে দেওয়া জবানবন্দির বরাত দিয়ে নুরে আলম জানান, ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় বান্ধবী রত্না রানী চক্রবর্তীকে দিয়ে মোবাইল ফোনে নগরীর মাসদাইরের বাসায় ডেকে আনা হয় স্বপন কুমার সাহাকে। পরে জুসের সঙ্গে ঘুমের বড়ি মিশিয়ে খাইয়ে শিল (পুতা) দিয়ে মাথায় আঘাত করে স্বপন কুমার সাহাকে হত্যা করা হয়। পরে বাথরুমে লাশ সাত টুকরা করে বাজারের ব্যাগে ভরে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (ডিবি) মফিজুল ইসলাম জানান, স্বপন সাহা হত্যা মামলার আসামি পিন্টু দেবনাথ ও রত্না রানী চত্রবর্তী হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। এছাড়া, মামলার অপর দুই আসামি বাপেন ভৌমিক ও আব্দুল্লাহ আল মামুন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে আদালতের নির্দেশে পিন্টু দেবনাথকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।