ড. আবদুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, ‘আমরা সবসময় শিক্ষার্থীদের যে কোনও যৌক্তিক আন্দোলনের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের দৈনন্দিন কার্যক্রম ও স্বাভাবিক চলাফেরা দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এমনকি আমাদের নিজ নিজ অফিস কক্ষে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া আমাদের সঙ্গে অসদাচরণ করা হচ্ছে।’
তিনি আরও জানান, ‘যদি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এমন আশ্বাস দেওয়া হয় যে এমন অসদাচরণের পুনরাবৃত্তি আর ঘটবে না তবেই আমরা আমাদের নিয়মিত কার্যক্রমে ফিরে যাব।’
এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে উপাচার্য তার অফিসে প্রবেশ করার পরপরই শিক্ষার্থীরা সেখানে তালা ঝুলিয়ে দেন। তারা বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরেও তালা দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবিগুলো হলো- আবাসিক সমস্যার স্থায়ী সমাধান, ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা সেবা প্রদান, আগের ব্যাকলগ প্রথা পুনর্বহাল, মানোন্নয়ন পরীক্ষার ন্যূনতম জিপিএ ২.৫ করা, ব্যাকলগ ও ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষার ফি (প্রবেশপত্রসহ) ৩০০ টাকা করা, বিএনসিসি ও রোভার স্কাউটের জন্য বাৎসরিক ফি বাতিল করা, স্নাতকের সব ক্রেডিট পূরণের জন্য ১৪ সেমিস্টার সুযোগ দেওয়া, অসুস্থ শিক্ষার্থীদের জন্য সিক বেডে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা এবং আবাসিক হলের ডাইনিংয়ে ভর্তুকি প্রদান করা।
প্রক্টর মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান জানান, ‘শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবির বিষয়ে সকালে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ছিল। এর আগেই শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনসহ বিভিন্ন ভবনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।’
শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন সম্পর্কে নোবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম ধ্রুব জানান, তারা শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্বতা পোষণ করেছেন। আলোচনার মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুন- শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবির মুখে অবরুদ্ধ নোবিপ্রবি উপাচার্য