জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এ হত্যা মামলায় সাজু মিয়াকে গাইবান্ধা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার সঙ্গে তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তার বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানার উত্তর রাজিবপুর গ্রামে।
পিবিআই জানায়, রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ প্রায় এক বছর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত বছরের ৩ নভেম্বর অফিস শেষে গোবিন্দগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ড থেকে নিশিতা নামের রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা রংপুরগামী বাসে ওঠেন। মামলার অভিযুক্তরা তাকে অনুসরণ করে ওই বাসে ওঠে এবং বাসের মধ্যে তাকে অজ্ঞান করে তার পকেটে থাকা প্রায় ৪০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে মিঠাপুকুর বাসষ্ট্যান্ডে নেমে যায়। বাসটি দুপুর আড়াইটার দিকে রংপুর বাস টার্মিনালে পৌঁছলে বাসের লোকজন তাকে অজ্ঞান অবস্থায় সিটে দেখতে পান। পরে তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তার মৃত্যু হয়।
পিবিআই পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তার তত্ত্বাবধানে তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আবু হাসান কবিরের নেতৃত্বে তদন্ত টিম গঠন করা হয়। তদন্তে সাজুর নেতৃত্বে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে জানা যায়। অভিযান চালিয়ে তাকে গাইবান্ধা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার মুল রহস্য বের করতে আসামিদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালনা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে রাজু মিয়া ঘটনার সঙ্গে তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তার বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানার উত্তর রাজিবপুর গ্রামে। এ মামলার অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পিবিআই।