বরিশাল সিটি করপোরেশনে কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য ১৩৫ স্থান নির্ধারণ

বরিশাল সিটি করপোরেশন

পবিত্র ঈদুল আজহায় উপলক্ষে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি)-এর ৩০টি ওয়ার্ডে পশু জবাইয়ের জন্য ১৩৫টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সংখ্যা গত বছরের নির্ধারিত স্থানের থেকে ৩৯টি কম হলেও এতে পশু কোরবানি দিতে সাধারণ মানুষের কোনও ভোগান্তি হবে না বলে দাবি করছেন সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ।

এবার বরিশাল সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ ঘোষিত ওয়ার্ড ভিত্তিক কোরবানির পশু জবাইয়ের নির্ধারিত স্থানের মধ্যে সর্বোনিম্ন ১, ২ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ২টি করে এবং সর্বোচ্চ ২১ নম্বর ওয়ার্ডে ৯টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ৬,৮,১০,১৬,১৭,৩০ নম্বর ওয়ার্ডে ৩টি করে; ৩,৪,৯,১৩,১৮,২০,২৪,২৮,২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৪টি করে; ৭, ১১,১২,২২, ২৭  নম্বর ওয়ার্ডে ৫টি করে; ১৫,২৫, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৬টি করে; ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৭টি; ১৯,২৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৮টি এবং ২১ নম্বর ওয়ার্ডে ৯টি স্থান পশু কোরবানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

এই কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য নগরের ৩০টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে সভাপতি ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরকে সহসভাপতি করে ৩০টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিগুলোতে সর্বনিম্ন ৮ জন করে সদস্য রয়েছেন।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের ভেটেরেনারি সার্জন ডা. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘দিনে দিনে নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির হার বাড়ছে। তবে গত বছর কিছু জায়গায় পশু কোরবানি না হওয়ায় এবার নির্ধারিত স্থানের পরিমাণ কিছুটা কমলেও এতে কোনও ধরণের ভোগান্তির সুযোগ নেই।

তিনি আরও বলেন, ‘এবারেও নির্ধারিত স্থান ঘিরে বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থা ও ব্লিচিং পাউডার সরবরাহ করা হবে।’

নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাই করা হলে বিসিসির কর্মীরা দ্রুত ও অল্প সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করে পরিবেশ সুন্দর এবং দূষণমুক্ত রাখতে পারবে বলে জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মকর্তা দীপক লাল মৃধা।

বিসিসি সূত্র জানায়, পরিবেশ দূষণরোধে নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি করার বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এর ধারাবাহিকতায় গত ৩ বছর ধরে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে পশু জবাইয়ের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে স্থান নির্ধারণ করা হয়।

বিসিসি এর হিসেব অনুযায়ী বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় ২০১৫ সালে ৬১টি, ২০১৬ সালে ১৪০টি এবং ২০১৭ সালে ১৭৪টি স্থান কোরবানির পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ করা হয়। প্রথম বছরে নির্ধারিত স্থানে ২০ শতাংশ কোরবানির পশু জবাই হলেও দ্বিতীয় বছরে তা বেড়ে ৬০ শতাংশে গিয়ে দাঁড়ায় এবং পরের বছর নির্ধারিত স্থানে পশু জবাইয়ের হার আরও বেড়ে যায়।