চাঁদার দাবিতে দোকানে ছাত্রলীগ সদস্যের তালা, এমপির নির্দেশে ৬ মাস পর খোলা

ফেনীফেনী শহরের আদালত সংলগ্ন একটি দোকানে চাঁদা না পেয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সদস্য এখলাস উদ্দিন খন্দকার বাবলু।   ঘটনার ছয় মাস পর বিষয়টি জেনে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর নির্দেশে দোকানটি খুলে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার  জেলা যুবলীগের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাহেদ মামুন ঘটনাস্থলে গিয়ে  দোকানটি উদ্ধার করে ব্যবসায়ী সোহাগকে বুঝিয়ে দেন।

জেলা যুবলীগের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাহেদ মামুন বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামুন জানান, ‘আদালত প্রাঙ্গনের প্রধান ফটকের কাছে শহীদুল ইসলাম সোহাগের মালিকানাধীন কনফেকশনারি দোকান ‘সোহাগ স্টোর’ থেকে মাসিক ১ হাজার ৫০০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করতো জেলা ছাত্রলীগের সদস্য এখলাস উদ্দিন খন্দকার বাবলু প্রকাশ ওরফে জুতা বাবলু। প্রায় ছয় মাস আগে চাঁদার পরিমাণ বেড়ে ৫ হাজার টাকা দাবি করে সে। দাবি করা টাকা না দেওয়ায় বাবলু তার সহযোগীদের নিয়ে দোকানটি দখল করে অন্য আরেকজনের কাছে ভাড়া দিয়ে দেয়। দীর্ঘদিন অনেকের কাছে ঘুরেও ফল না পেয়ে বুধবার সোহাগ তিনি বিষয়টি নিজাম হাজারীকে জানান। এ ঘটনায় নিজাম উদ্দিন হাজারীর নির্দেশে বৃহস্পতিবার আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে  দোকানটি উদ্ধার করে ব্যবসায়ী সোহাগকে বুঝিয়ে দেই।’

জেলা ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র জানায়, এখলাস উদ্দিন খন্দকার বাবলু ছাত্র শিবিরের সক্রিয় কর্মী থেকে সংগঠনে অনুপ্রবেশকারী। শহরের জামায়াত নিয়ন্ত্রিত আল ফালাহ মাদ্রাসার শিবিরে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ছিল সে। ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশ করে সংগঠনের ভাবমূতি নষ্ট করতে তার নানা কর্মকাণ্ডের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তাকে সংগঠন থেকে কেন বহিষ্কার করা হবে না এই মর্মে কারণ দর্শাও নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থার নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হায়দার জর্জ বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘তার এই ধরণের অপকর্মের দায়ভার জেলা ছাত্রলীগ নেবে না। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন- একই গবেষণা প্রবন্ধ একাধিক জার্নালে, নোবিপ্রবি’র ৪ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা