ইউএনও’র উদ্যোগে বিদ্যালয় পেলো গভীর নলকূপ

কর্ণফুলী পেপার মিল উচ্চ বিদ্যালয়ে খাবার পানির সংকট দূর করতে গভীর নলকূপ স্থাপন করিয়েছেন স্থানীয় ইউএনও। এখন বিদ্যালয়ের ছাদেও সেই পানি উঠছে, তা দেখছেন অতিথি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিনের একটি উদ্যোগ ঘুচিয়ে দিয়েছে কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম) উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের টানা দুই বছরের খাবার পানির কষ্ট। ওই বিদ্যালয়ে খাবার পানির সংকটের কথা দুই মাস আগে শুনে তিনি তাৎক্ষণিক এ সমস্যা সমাধানে একটি গভীর নলকূপ স্থাপনের নির্দেশ দেন। আজ মঙ্গলবার ওই গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ শেষে তা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।

জানা গেছে, রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম) উচ্চ বিদ্যালয়। ওই এলাকায় পানির স্তর নেমে যাওয়ায় গত দুই বছর ধরে বিশুদ্ধ খাবার পানির কোনও ব্যবস্থা ছিল না। ফলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দুর্বিষহ কষ্টে লেখাপড়ার পাঠ সম্পন্ন করতে হচ্ছিল। বিশুদ্ধ পানির অভাবে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছিল। এ সমস্যার কথা শুনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রুহুল আমিন ওই বিদ্যালয়ে দ্রুততম সময়ে মধ্যে একটি গভীর নলকূপ স্থাপনের নির্দেশ দেন। এ নির্দেশের ১ মাস ১০ দিনের মাথায় আজ মঙ্গলবার ওই নলকূপ স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে।

এই গভীর নলকূপটি আজ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এসময়ে ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী, ইউপি সদস্য, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাদির আহমেদসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত বিদ্যালয়টির ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৭৭০ জন। মোট শিক্ষক আছেন ২৯ জন আর কর্মচারীর সংখ্যা ৬।

চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, 'ইউএনও সাহেবকে একদিন ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শনের সময় কেপিএম স্কুলের খাবার পানি সংকটের বিষয়টি অবহিত করি। এ কথা শুনে তিনি সঙ্গে সঙ্গে মিস্ত্রি ডেকে গভীর নলকূপ নির্মাণ কাজ শুরু করেন। আজ মঙ্গলবার ১ মাস ১০ দিনের মাথায় এ কাজ শেষ হয়।

কর্ণফুলী পেপার মিল (কে পি এম) উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. বাবুল হোসেন বলেন, আমাদের ইউপি চেয়ারম্যান সাহেবকে বিষয়টি বলার পর উনি  পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানান। বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটে ছাত্র-ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে খবরটি শুনে সেদিনই একটি গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ শুরু করেন। আজ কাজটি শেষ হয়েছে। ইউএনও স্যারকে ধন্যবাদ ।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘বিষয়টা অবহিত করলে ঐদিনই ডিপ টিউবওয়েল (গভীর নলকূপ) স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। আজ কাজটি শেষ হয়েছে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিশুদ্ধ পানির সংকট দূর হলো।’