জাহাজে ওয়াচম্যান নিয়োগের নির্দেশ মানা হচ্ছে না মোংলা বন্দরে

মোংলা বন্দরউপদেষ্টা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মোংলা বন্দরে আসা দেশি-বিদেশি জাহাজে ওয়াচম্যান (নিরাপত্তা প্রহরী) না নেওয়ায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বন্দরে আসা পণ্যবাহী বাণিজ্যিক জাহাজে চুরি-ডাকাতি ঠেকাতে ওইসব জাহাজে ওয়াচম্যান বুকিং নেওয়ার বিধান রাখা হলেও তা মানছে না কয়েকটি শিপিং এজেন্ট। এ কারণে বন্দরে স্টিভিডরিং ওয়াচম্যানদের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মোংলা বন্দর ষ্টিভিডরিং ওয়াচম্যান ওয়েলফেয়ার সংঘের সভাপতি গোলাম মোস্তফা জানান, মোংলা বন্দরের উপদেষ্টা কমিটির ১৪তম সভায় জাহাজে ওয়াচম্যান নিয়োগের সিদ্ধান্ত হলেও সংশ্লিষ্ট কিছু শিপিং এজেন্টের খামখেয়ালিপনায় তা হচ্ছে না।  যারা এ নিয়ম মানছে না, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে মোংলা বন্দর স্টিভিডরিং ওয়াচম্যান ওয়েলফেয়ার সংঘের পক্ষ থেকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়সহ প্রশাসনের একাধিক প্রতিষ্ঠানে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘মোংলা বন্দরে আসা দেশি-বিদেশি জাহাজে চুরি-ডাকাতি ঠেকাতে ওয়াচম্যান নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মানছে না সামন্দা, কনভেয়ার, ইউনি ওশান ও ইউনি গ্লোবাল শিপিং এজেন্ট। এসব শিপিং এজেন্ট জাহাজে ওয়াচম্যান নিয়োগ দেয় না। এর জন্য জাহাজে চুরিসহ কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার দায় ওইসব শিপিং এজেন্টদেরই নিতে হবে।’বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট`স অ্যাসোসিয়েশন

এদিকে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট'স অ্যাসোসিয়েশনের (খুলনা) চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম এবং স্টিভিডর নুরু অ্যান্ড সন্সের মালিক এইচ এম দুলাল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মোংলা বন্দরের স্বার্থে বন্দরে আসা সব বাণিজ্যিক জাহাজের ওয়াচম্যান নিয়োগ বাধ্যতামূলক। এটা সরকারি সিদ্ধান্ত। যদি কোনও শিপিং এজেন্ট এ নিয়ম না মানে তাদের বিরুদ্ধে বন্দরের হারবার বিভাগ আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে।’ 

এদিকে মোংলা বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার দুরুল হুদা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জাহাজে ওয়াচম্যান নিয়োগ না দেওয়ার বিষয়ে কিছু শিপিং এজেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেবো।’