বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে ১৫ ট্রলার ডুবি, শতাধিক জেলে নিখোঁজ

সাগরে ঝড়ের কবল থেকে ফিরে আসা ট্রলারবঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে মাছ ধরার ১৫টি ট্রলারসহ শতাধিক জেলে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে এ পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে দেড়শ’ জেলে-মাঝিমাল্লা। নিখোঁজ বাকি ট্রলার ও জেলেদের উদ্ধারে কোস্ট গার্ড এবং নৌ বাহিনী উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। 

সাগর থেকে ফিরে আসা জেলে-মাঝিমাল্লারা,বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও কোস্ট গার্ডের অপারেশন অফিসার লে. জাহিদ আল হাসান জানান, বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে ঝড়ের কবলে পড়ে গভীর সাগরে অন্তত ১৫টি ফিসিং ট্রলার ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া ওই সব ট্রলারে থাকা শতাধিক জেলেকে আশপাশের ট্রলারগুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও এপর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন আরও প্রায় দেড়শ জেলে-মাঝিমাল্লা। শতাধিক জেলেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা গেলেও কোনও ট্রলার উদ্ধার করা যায়নি।

নিখোঁজ ট্রলারগুলো ও জেলেদের উদ্ধারে কোস্ট গার্ডের কচিখালী ও দুবলা ষ্টেশনের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান লে. জাহিদ আল হাসান। তিনি বলেন, ‘কচিখালী স্টেশনের অভিযানে বৃহস্পতিবার রাতে সাগর সংলগ্ন বাদামতলা এলাকা থেকে ইঞ্জিন বিকল হয়ে ভাসতে থাকা একটি ট্রলার ও ৮ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া জেলেরা সুস্থ আছেন। তাদের বাড়ি পটুয়াখালীতে। উদ্ধার হওয়া ট্রলারটির মাঝির নাম নুর আলম।

ঝড়ের কবল থেকে ফিরে আসা ট্রলারে জেলে ও মাঝি-মাল্লা

বরগুলা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘বরগুনার ছগির পালোয়ানের এফবি আরমান, আহম্মদ মিস্ত্রীর এফবি তাজেনুর, দুলালের এফবি মায়ের দোয়া ও খলিলের এফবি মীমসহ ১৫টি ট্রলার ডুবেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই চারটির মধ্যে আরমান ট্রলারের চার জেলে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। অন্য তিনটি ট্রলারের জেলেরা উদ্ধার হলেও  ট্রলারগুলো উদ্ধার করা যায়নি। এখনও বিভিন্ন ট্রলারের দেড়শো’র মতো জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।নিখোঁজ ট্রলার ও জেলেদের উদ্ধারে কোস্ট গার্ড ও নৌ বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে বলেও জানান তিনি। তবে এপর্যন্ত সাগর থেকে কোস্ট গার্ড ও নৌ বাহিনী কোনও জেলেকে উদ্ধার করতে পারেনি। যেসব জেলে উদ্ধার হয়েছেন, তাদেরকে আশপাশের অন্য ট্রলার ও জেলেরাই উদ্ধার করেছেন বলেও জানান গোলাম মোস্তফা। নিখোঁজ ওই সব ট্রলার ও জেলেদের বাড়ি বরগুনার বিভিন্ন এলাকায়। সাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবি ও জেলে নিখোঁজের পর থেকে অন্য  জেলেরা নিরাপদে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে এসেছেন। কেউ কেউ সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী-খালে আশ্রয় নিয়েছেন।