চট্টগ্রামে যুবলীগের দুই পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

এ দোকানে ভাঙচুর চালানো হয় (ছবি- প্রতিনিধি)

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার এলাকায় যুবলীগের দুই পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে ওই এলাকার চাঁনমারি রোডে এ ঘটনা ঘটে।

বিবাদমান দুই পক্ষের একটি লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুমের অনুসারী ও অন্যপক্ষ স্থানীয় যুবলীগ নেতা আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলালের অনুসারী। বেলাল সিটি কলেজের সাবেক এজিএস ছিলেন। আর দিদারুল আলম মাসুম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত কয়েক মাস ধরে মাসুমের অনুসারীদের সঙ্গে বেলালের অনুসারীদের দ্বন্দ্ব চলছিল। ওই দ্বন্দ্বের জেরে আজ (শুক্রবার) রাতে বেলালের অনুসারীদের সঙ্গে মাসুমের অনুসারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় প্রতিপক্ষের হামলায় মাসুম পক্ষের চার জন আহত হন। মাসুম গ্রুপের এক ছাত্রলীগ নেতার দোকান ভাঙচুর করে বেলালের অনুসারীরা।

আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী নগর ছাত্রলীগের উপ-দফতর সম্পাদক সনেট চক্রবর্তী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কোনও কারণ ছাড়াই বেলালের অনুসারীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমিসহ আমাদের চার জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বেলালের অনুসারীরা আমার দোকান, মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মাসুম ভাইয়ের অনুসারীরা সন্ধ্যায় বেশ কয়েক দফায় এলাকায় মিছিল করে। মিছিল থেকে উস্কানিমূলক বিভিন্ন কথাবার্তা বললে এ নিয়ে আমার কয়েকজন ছোট ভাইয়ের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা মারধর করার চেষ্টা করলে আমার নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেয়। পরে তারাও পাল্টা ধাওয়া দেয়। এসময় ঘটনাস্থলে গিয়ে আমি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীদের হামলায় আহত হই।’

খুলশী থানার এসআই রূপক কান্তি চৌধুরী বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। এখন পরিস্থিতি শান্ত।’