নবজাতককে তিন খণ্ড, তদন্ত কমিটিতে পরিবর্তন

কুমিল্লাকুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রসবের সময় নবজাতককে তিন খণ্ড করার ঘটনা অনুসন্ধানে গঠিত তদন্ত কমিটি একদিনের মাথায় পরিবর্তন করা হয়েছে। সোমবার মেডিকেল অফিসার ডা. আহসানুল হক মিলুকে তদন্ত কমিটি থেকে সরিয়ে দিয়ে শিশু বিভাগের জুনিয়র কনসাল্টেন্ট ডা. আশরাফুল ইসলামকে কমিটিতে যুক্ত করা হয়।

গত শনিবার রাতে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফাতেমা বেগম নামের এক প্রসূতির নবজাতককে প্রসব করায় দুই সিনিয়র নার্স ও এক আয়া। নবজাতক তিন খণ্ড হওয়ার ঘটনা অনুসন্ধানে গত রবিবার দুপুরে উপজেলা কমপ্লেক্সের গাইনী বিভাগের জুনিয়র কনসাল্টেন্ট ডা. তামান্না আফতাব সোলাইমানকে প্রধান করে এবং আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মঞ্জুর রহমান ও মেডিকেল অফিসার ডা. আহসানুল হক মিলুকে সদস্য করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু ঘটনার সময় ডা. আহসানুল হক মিলু রাত্রীকালীন ডিউটিরত থাকায় সোমবার ওই তদন্ত কমিটি থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ থেকে ওই প্রসূতির ভাই ইউছুফ মিয়া মোবাইল ফোনে জানান, তার বোনকে গত দুই দিনে পাঁচ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন কিছুটা সুস্থ আছেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান ও গাইনী বিভাগের জুনিয়র কনসাল্টেন্ট ডা. তামান্না আফতাব সোলাইমান জানান, তদন্ত কমিটির একজন সদস্য পরিবর্তন করা হয়েছে। মঙ্গলবার আমরা তদন্তের কাজ শুরু করতে যাচ্ছি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আহাম্মদ কবীর জানান, ডা. আহসানুল হক মিলু ঘটনার সময় রাত্রিকালীন ডিউটিরত থাকায় তদন্ত কমিটি থেকে তাকে সরিয়ে ডা. আশরাফুল ইসলামকে কমিটিতে যুক্ত করা হয়। রিপোর্ট পাওয়ার পর দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত রবিবার সকালে হাসপাতালের ডাস্টবিন থেকে নবজাতকের খণ্ডিত দেহ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠে। প্রথমে হাসপাতালের কেউ স্বীকার না করলেও জিজ্ঞাসাদে বেরিয়ে আসে দুই নার্স ও আয়া টানাটানি করে নবজাতককে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।