অ্যাম্বুলেন্সে করে এসে পরীক্ষায় অংশ নিলেন সেই তরিকুল

পরীক্ষায় অংশ নিতে আসেন তরিকুলবিশেষ ব্যবস্থায় মেডিক্যালে বসে পরীক্ষার অনুমতি না মেলায় অ্যাম্বুলেন্সে চেপে নিজ বিভাগে উপস্থিত হয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন দুই পা ভেঙে যাওয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম। বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বিভাগে শিক্ষকদের কক্ষে তিনি পরীক্ষা দেন।

গত ২ জুলাই কোটা আন্দোলনকারীদের পতাকা মিছিলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলায় তার দুই পা ভেঙে যায় এবং মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাত লাগে।

পরীক্ষার পর তরিকুল ইসলাম জানান, ‘ক্র্যাচে ভর দিয়ে ছাড়া দাঁড়াতে পারি না। সহপাঠীদের সহযোগিতায় অ্যাম্বুলেন্সে চেপে সকালে পরীক্ষায় অংশ নিতে ক্যাম্পাসে আসি। এরপর বিভাগের শিক্ষকদের কক্ষে বেডের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। সেখানে বসে পরীক্ষা দিয়েছি। মোটামুটি ভালো হয়েছে পরীক্ষা। তবে মেডিক্যালে বসে দিতে পারলে আরও ভালো হতো।’রাবি ছাত্র তরিকুলের ওপর হামলা (ফাইল ছবি)

তরিকুলের সহপাঠীরা জানান, দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর নিজ বাড়িতে বেডরেস্ট ছিলেন তরিকুল। এর মধ্যে তার মাস্টার্স চূড়ান্ত পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত হয় ২৬ সেপ্টেম্বর। এ অবস্থায় পরীক্ষায় বসার আগ্রহ ছিল না তার। কিন্তু তার সহপাঠীরা তাকে পরীক্ষায় বসার অনুরোধ করেন এবং দুইদিন আগে তাকে রাজশাহী নিয়ে আসেন।

কোটা আন্দোলনের রাবি শাখার সমন্বয়ক মাসুদ মোন্নাফ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তরিকুল নিজ পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াতে পারে না। এ অবস্থায় তার জন্যে মেডিক্যালে বসে পরীক্ষার আবেদন করা হয়। এর জন্য পরে ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট এবং তরিকুলকে দেখার পর রাবি চিকিৎসা কেন্দ্রের ডাক্তার মেডিক্যালে বসে পরীক্ষার অনুমোদন দেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দফতর থেকে তাকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি।’

জানতে চাইলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক বাবুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী ছোঁয়াচে রোগের ক্ষেত্রে মেডিক্যালে বসে পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়। তাই তরিকুল ছোঁয়াচে রোগী না হওয়ায় অনুমোদন পায়নি।’

আরও পড়ুন- 

হাতুড়ি পেটায় পা ভাঙা তরিকুলকে রাখেনি রামেক হাসপাতাল

‘রাস্তায় নামলেও সহিংসতা করিনি, এটা সরকারের বিরুদ্ধে কীভাবে যায়?’