নিহতরা হলো, দৌলতদিয়া উম্বার কাজীর পাড়া গ্রামের জামাল শেখের মেয়ে জাকিয়া আক্তার কেয়া (১৫)এবং যদু ফকিরের পাড়া গ্রামের সালাম মণ্ডলের মেয়ে চাঁদনী আক্তার (১৫)। দুই ছাত্রী নিহতের ঘটনায় স্কুলের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ও উত্তেজিত জনতা সড়ক অবরোধ করে যানবাহন ভাংচুর করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দৌলতদিয়া মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহম্মদ শহিদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শনিবার দুপুরে স্কুলে নবম শ্রেণির ধারাবাহিক মূল্যায়ন পরীক্ষা ছিল। কেয়া ও চাঁদনী পরীক্ষার জন্য স্কুলে আসছিল। স্কুলের সামনে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় দৌলতদিয়া থেকে ফরিদপুরগামী গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাস তাদের চাপা দেয়। এতে চাঁদনী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। কেয়াকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুরে পাঠাতে বলেন। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে ওঠানো হলে সেও মারা যায়। তারা দুজনই মেধাবী ছাত্রী ছিল।তাদের মৃত্যুতে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাহিনা আক্তার বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, দুপুর ২টার দিকে কেয়া ও চাঁদনী নামে দুই ছাত্রীকে নিয়ে আসা হয়।চাঁদনীকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে।কেয়ার অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর উদ্দেশ্যে অ্যাম্বুলেন্সে ওঠানোর সময় কেয়া মারা যায়।
গোয়ালন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এজাজ শফি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, দুপুরে দেড়টার দিকে রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগতিতে আসা একটি বাসের নিচে চাপা পড়ে দুই ছাত্রী। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। উত্তেজিত জনতা রাস্তায় যাতে কোনও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহলাদিপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ পারভেজ জানান, ঘাতক বাসটিকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।