পূজা মণ্ডপের জন্য বরাদ্দ চাল তুলতে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

নীলফামারীনীলফামারীর কিশোরগঞ্জে দুর্গাপূজায় বরাদ্দ সরকারি চাল তোলার জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ  উপজেলায় ১৪৯টি মণ্ডপ রয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপের জন্য ৫০০ কেজি করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, দুর্গাপূজায় প্রতিটি মণ্ডপের জন্য ৫০০ কেজি করে জিআর চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। সে চাল উত্তোলনের সময় মণ্ডপ প্রতি এক হাজার টাকা আদায় করেছে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা।

উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের সেনপাড়া সার্বজনীন দুর্গাপূজা মণ্ডপের সভাপতি অনিল সেন বলেন, ‘পূজা উদযাপন পরিষদের এক সভায় ওই চাল বিক্রি করার সিদ্ধান্ত হয়। সেজন্য প্রতি কেজি চাল ২০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়েছে। সে হিসাবে প্রতিটি মণ্ডপের জন্য বরাদ্দ ৫০০ কেজি চালের দাম হয় ১০ হাজার টাকা। সেখানে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিল্পব সরকার ও সাধারণ সম্পাদক ফণিভূষণ  মজুমদার এক হাজার করে নিচ্ছেন।’

একই উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের মেলাবর বটতলা পূজা মণ্ডপের সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, তারা বলেছিলেন, কমিটির খরচ বাবদ ওই টাকা নেওয়া হয়েছে। শ্রীকৃষ্ণের জম্মাষ্টমীতে কিছু খরচ হয়েছে, দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য চারটি সভা করতে খরচ হয়েছে। এজন্য প্রতিটি মণ্ডপের এক হাজার করে টাকা দিয়ে ওই খরচ মেটানোর কথা জানিয়েছেন তারা।

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফনি ভূষণ মুজুমদার টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘পূজা উদযাপনের জন্য পরপর চারটি সভা করতে হয়েছে। সেখানে আপ্যায়ন বাবদ কিছু খরচ হয়েছে। এছাড়া পরিষদের উদ্যোগে শ্রীকৃষ্ণের জম্মাষ্টমী উদযাপনেও বেশ কিছু খরচ হয়েছে। এসব ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রতিটি মণ্ডপ স্বেচ্ছায় ৫০০-৭০০ করে টাকা দিয়েছে। এক হাজার করে টাকা কেটে নেওয়ার বিষয়টি সঠিক না।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘উপজেলায় ১৫৩টি মণ্ডপের জন্য ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ পেয়েছি। এর মধ্যে চারটি মণ্ডপ পূজা করবে না বলে জানিয়েছে। এজন্য ১৪৯টি মণ্ডপের নামে ৫০০ কেজি চালের আলাদা আলাদা ডিও করে মন্দির কমিটির হাতে বুঝিয়ে দিয়েছি। এখানে পূজা উদযাপন পরিষদ কী?।’

তিনি বলেন, ‘এখন তারা চার উত্তোলন করে প্রসাদ বানাবে না বিক্রি করে কাজে লাগাবে সেটি তাদের ব্যাপার। এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ আমার জানা নেই।’

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অক্ষয় কুমার রায় বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবো।’