বাইপাস চালু হওয়ার মাধ্যমে কুষ্টিয়াবাসীর দুই যুগের চাওয়া পূরণ হতে যাচ্ছে। দৃষ্টিনন্দন এ সড়কটি উদ্বোধন হলে শহরের যানজট ও দুর্ঘটনা কমার পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটবে। কয়েক দফা সময় বাড়ানোর পর প্রকল্পটির কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে।
কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ কুষ্টিয়া শহর বাইপাস সড়ক নির্মাণকাজ শুরু হয়।নবনির্মিত বাইপাসটি বটতৈল থেকে শুরু হয়ে বারখাদা ত্রিমোহনীতে গিয়ে শেষ হয়েছে।
দৃষ্টিনন্দন এ সড়কটি নির্মাণের ফলে এলাকার চেহারা বদলে গেছে। সড়কের দুই পাশে গড়ে উঠছে নতুন অনেক প্রতিষ্ঠান। এ সড়ক ঘিরে শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠার বিপুল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। দৃষ্টিনন্দন এ সড়কে অনেকেই বিকালে ঘুরতে আসেন। সড়কের পাশে অনেকেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে বসেছেন।
কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বাইপাস সড়কের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। এখন শুধু খুলে দেওয়ার অপেক্ষা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সড়কটি উদ্বোধন করবেন। সড়কটি খুলে দেওয়া হলে শহরে গাড়ির চাপ যেমন কমবে তেমনি কমে যাবে দুর্ঘটনা। সড়কের দুই পাশ দৃষ্টিনন্দন করতে গাছ লাগানো হয়েছে।উত্তর বঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের একমাত্র চলাচলের রাস্তা এটি।’
গাড়ি চালক আলম হোসেন জানান, বাইপাস সড়ক খুলে দিলে দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। শহরের মধ্যে এসে যানজটে আটকে থাকতে হয়। এখন সহজেই তারা যাতায়াত করতে পারবেন। শহরের মজমপুর এলাকার বাসিন্দা রাশিদুজ্জামান খান বলেন, ‘রাস্তায় গাড়ির এত চাপ যে পারাপার হওয়া যায় না। ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে ভয় লাগে। বাইপাস সড়কটি আমাদের দীর্ঘদিনের চাওয়া ছিল। এটি বাস্তবায়ন হওয়ায় সবার উপকার হলো।’
জেলা বাস মিনিবাস মালিক গ্রুপের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী বলেন, ‘বাইপাস সড়কটি কুষ্টিয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন হাজার হাজার বাস, ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন শহরের ওপর দিয়ে যাতায়াত করে। এতে অনেক সমস্যা হয়। সড়কটি খুলে দিলে সবাই উপকৃত হবে।’