আন্দোলনকারী চালকদের অভিযোগ, পুলিশ (ঢাকা মেট্রো-২০৫৫/৯৭) ট্রাকটি তল্লাশির নামে চাঁদা দাবি করে। ওই ট্রাকটি আটক করে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার এসআই নূর-এ আলম। এসময় তাকে চাঁদা না দেওয়ায় চালককে বেধড়ক মারপিট করা হয়। এতে ওই চালকের চোখ মারাত্মকভাবে জখম হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোশারফ হোসেন জানান, সকালের দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব গোলচত্বরে পুলিশ তল্লাশি করছিল। এসময় ট্রাকের চালকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এরপরেই অন্যান্য চালকরা সড়ক অবরোধ করে রাখে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য নূর-এ আলমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। অবরোধকারীরা সকাল ১০টার দিকে অবরোধ তুলে নিয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই যানজট স্বাভাবিক হবে।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফুল আলম বলেন, ‘অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য নূর-এ আলমকে তাৎক্ষণিকভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাকে চুড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হবে এবং আহত ট্রাকচালক বকুলের সব চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা হবে। এছাড়া টাঙ্গাইলের সীমানায় কোনও পুলিশ সদস্য চাঁদাবাজি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’