গত (৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ নভেম্বর) ১ মাস ৮ দিনে এসব মামলা দায়ের করা হয়। কালীগঞ্জ থানা পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বর্তমানে এজাহারভুক্ত ১১৭ জন জামায়াত-বিএনপি নেতাকর্মী গ্রেফতার এড়াতে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
কালীগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, নাশকতা করার সময় পুলিশ ১৫ জামায়াত-বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। তারা হচ্ছেন, কালীগঞ্জ উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের মৃত আছির আলী ছেলে মাহবুবুর রহমান মাফি (৪০), একই গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে হাফিজুর রহমান (৫৩), কুলাপাড়া গ্রামের আকছের আলীর ছেলে নাজমুল হোসেন (৩৫) ও বদর মালিথার ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৫), আড়ুয়া শলুয়া গ্রামের বাকের মণ্ডলের ছেলে রাশেদ মণ্ডল (৩৯), নগর চাপরাইল গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে রবিউল ইসলাম (৪০), নিত্যানন্দীপুর গ্রামের মহর আলী বিশ্বাসের ছেলে মালেক মোল্ল্যা (৪০), মোল্ল্যাডাঙ্গা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মনিরুল ইসলাম রবে (৪৬), একতারপুর গ্রামের আইনাল মণ্ডলের ছেলে শামসুল ইসলাম (৪৭) ও নওশের আলী ছেলে সোহান মণ্ডল (৩৭), কালুখালী গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে তোতা মিয়া (৩২), সিংদহ গ্রামের রবিক উদ্দীনের ছেলে রেজাউল ইসলাম (৫৫) ও মতিয়ার বিশ্বাসের ছেলে মিজানুর রহমান (৪৫), কৃষ্ণপুর গ্রামের রওশন মোল্ল্যার ছেলে হামিদ মোল্ল্যা (৫০) ও কামাল হাট গ্রামের মুরাদ আলীর ছেলে নাজমুল হোসেন (২৮)।
নাশকতার বৈঠক করার সময় কালীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরপুর, আলাইপুর, পিরোজপুরসহ সাতটি স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইউনুস আলী বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতিসহ নানা রকম ষড়যন্ত্র করার জন্য তারা নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। সে সময় পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ১৫ জনকে গ্রেফতার ও ২০টির বেশি বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার করে। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় পৃথক সাতটি নাশকতার মামলায় ১১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত মোট ২৫৫ জন জামায়াত-বিএনপি নেতাকর্মীর নামে মামলা করা হয়েছে।