নিহত রবিউল মাদারীপুরের কালকিনির কুকরিরচর এলাকার লাল চানের ছেলে।
ওসি শিশির কুমার পাল জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে রবিউলকে মাদারীপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল চেয়ারম্যান নান্টুকে নিজ হাতে পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে। রবিউল জানায় তার অস্ত্রগুলো জল্লা এলাকায় রয়েছে। ওই রাতেই রবিউলকে সঙ্গে নিয়ে জল্লার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে রাত আড়াইটায় জল্লার পীরেরপাড়া ফুলতলা এলাকা অতিক্রম করার সময় আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা রবিউলের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তারা রবিউলকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। সুযোগ বুঝে রবিউল পালিয়ে যাওয়ার জন্য দৌড় দেয়। তখন আমরা আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালাই। এ সময় গোলাগুলির শব্দ শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে প্রতিপক্ষরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই স্থানে তল্লাশি চালিয়ে রবিউলের গুলিবিদ্ধ লাশ এবং রবিউলের সঙ্গীদের ফেলে যাওয়া একটি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি ও ৩টি রামদা উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি।
উল্লেখ্য, গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে উজিরপুরের কারফা বাজারে নিজের কাপড়ের দোকানে মুখোশধারী দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন ইউপি চেয়ারম্যান নান্টু। এ ঘটনায় ২২ সেপ্টেম্বর নান্টুর বাবা সুখলাল হালদার বাদি হয়ে আওয়ামী লীগ দলীয় স্থানীয় এমপি’র ব্যক্তিগত সহকারী আবু সাঈদ রাঢ়ি এবং আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র নেতাকর্মীসহ ৩২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় উজিরপুর ও ঢাকা থেকে ১২ আসামিকে গ্রেফতার এবং নান্টু হত্যা মামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।