চট্টগ্রামে এখনও রয়ে গেছে নির্বাচনি প্রচার সামগ্রী

দেয়ালে লাগানো রয়েছে পোস্টার১৪ নভেম্বরের মধ্যে ব্যানার,পোস্টারসহ সব ধরনের নির্বাচনি প্রচার সামগ্রী অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। পরে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচনি প্রচার সামগ্রী অপসারণের কথা থাকলেও সেই দিকে নজর নেই প্রার্থীদের। নগরীর অধিকাংশ এলাকায় এখনও রয়ে গেছে প্রার্থীদের ব্যানার পোস্টার। বড় দুই দলের কোনও প্রার্থীই এখন পর্যন্ত তাদের প্রচার সামগ্রী সরাননি।

এদিকে প্রার্থীরা নিজ খরচে প্রচার সামগ্রী সরিয়ে না নেওয়ায় নির্বাচন কমিশনকে এসব প্রচার সামগ্রী সরিয়ে নিতে হাচ্ছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় নির্বাচন কমিশন এসব প্রচার সমাগ্রী অপসারণ করছেন।

দেয়ালে লাগানো রয়েছে পোস্টারএ বিষয়ে জানতে চাইলে রির্টানিং অফিসার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা ১৮ নভেম্বরের মধ্যে সব প্রচার সামগ্রী সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলাম। এই সময়সীমার মধ্যে যারা অপসারণ করেননি। অভিযান চালিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসনের ২৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করনে। মঙ্গলবারের মধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের উপস্থিতিতে এসব প্রচারণামূলক সামগ্রী অপসারণ করা হবে।

দেয়ালে লাগানো রয়েছে পোস্টারগত ১১ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা পোস্টার, ব্যানার, দেয়ালিকা, বিলবোর্ড, গেট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী ও নির্বাচনি ক্যাম্প থাকলে তা ১৪ নভেম্বর রাত ১২টার পূর্বে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নিজ উদ্যোগে অপসারণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পরবর্তীতে এই সময়সীমা বাড়িয়ে ১৮ নভেম্বর রাত ১২ পর্যন্ত করা হয়।

নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া এই সময় সীমা পার হওয়ার পর এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছে প্রার্থীদের ব্যানার-পোস্টার। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, নগরীর অধিকাংশ এলাকায় প্রার্থীদের ব্যানার পোস্টার শোভা পাচ্ছে। নগরীর মতো একই অবস্থা উপজেলাগুলোতেও।