গোপালগঞ্জে কারা পাচ্ছেন ধানের শীষ?

এফ ই শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর, সেলিমুজ্জামান সেলিম, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও ডা. কে এম বাবর (ছবি– প্রতিনিধি)

গোপালগঞ্জ-১, গোপালগঞ্জ-২ ও গোপালগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপি থেকে দুই জন করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাইয়ে গোপালগঞ্জ-১, গোপালগঞ্জ-২ আসনে চার জনের প্রার্থিতাই বহাল রয়েছে। তবে গোপালগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির দুই মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে একজনের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। এখন গোপালগঞ্জ-১ ও গোপালগঞ্জ-২ আসনে কারা ধানের শীষ পাচ্ছেন, এ নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।

বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে আলাপে জানা যায়, গোপালগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন এফ ই শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর ও সেলিমুজ্জামান সেলিম। গোপালগঞ্জ-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও ডা. কে এম বাবর। যাচাই-বাছাইয়ে এই দুই আসনের চার মনোনয়নপ্রত্যাশীর প্রার্থিতাই বৈধ হয়েছে। অন্যদিকে, গোপালগঞ্জ-৩ আসনে এস এম জিলানী ও এস এম আফজাল হোসেন মনোনয়নপত্র জমা দিলেও এস এম জিলানীর প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়। কর্মী-সমর্থকদের ভাষ্য, গোপালগঞ্জ-৩ আসনে এস এম আফজাল হোসেন ধানের শীষ পাচ্ছেন, এটা ধরে নেওয়া যায়। কিন্তু গোপালগঞ্জ-১ ও গোপালগঞ্জ-২ আসনে কারা ধানের শীষ পাচ্ছেন, এ নিয়ে তারা ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছেন।

তবে জেলা বিএনপির নেতারা বলছেন, অল্প সময়ের মধ্যেই বিএনপির হাই-কমান্ড থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে, কে কে ধানের শীষ পাচ্ছেন। কৌশলগত কারণে প্রতি আসনে একাধিক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলেও জানান তারা।

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ জানান, গোপালগঞ্জ-২ আসনে তিনিই ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন। ডা. কে এম বাবর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন। তিনি আরও জানান, গোপালগঞ্জ-১ আসনে এফ ই শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর ধানের শীষ পাবেন। সেলিমুজ্জামান সেলিম তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন।

এ ব্যাপারে এফ ই শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর বলেন, ‘হাই-কমান্ড থেকে এখনও কোনও নির্দেশনা পাইনি। তবে আমিই গোপালগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবো বলে আশাবাদী।’

এদিকে, এ ব্যাপারে ডা. কে এম বাবর বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে এখনও কোনও নির্দেশনা পাইনি। তবে যেই বিএনপির প্রার্থী হোন না কেন, তার পক্ষেই আমি কাজ করবো।’