শেখ হাসিনা ওয়াদার বরখেলাপ করেন না: ওবায়দুল কাদের

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা বলেন তা করেন। তিনি কখনও ওয়াদার বরখেলাপ করেন না। গতকাল আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা করা হয়েছে। ইশতেহারে তরুণদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ আছে। নেত্রী সরকার গঠন করলে প্রত্যেক পরিবারের অন্তত একজনকে চাকরি দেওয়া হবে। ২০২১ সালের মধ্যে কোনও ঘর অন্ধকারে থাকবে না। আশ্রয়হীন অবস্থায় কোনও লোক ঘরের বাইরে থাকবে না। কোনও লোক গৃহহীন থাকবে না।’

নোয়াখালীতে নির্বাচনি প্রচারণায় ওবায়দুল কাদের

আজ বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) নোয়াখালীতে নিজের নির্বাচনি প্রচারে অংশ নেওয়ার সময় তিনি এই কথা বলেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নিজের নির্বাচনি এলাকা কবিরহাট উপজেলার ফরায়েজী বাজার, টেকের বাজার, পশ্চিম দরাপনগর ও নূর সোনাপুরের পথসভায় অংশ নেন তিনি।

নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই বলে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার যে মন্তব্য করেছেন সে ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘এটি তার নিজস্ব মতামত। এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। নির্বাচন কমিশন পাঁচজন নিয়ে গঠিত। পাঁচজন সদস্যের মধ্যে অধিকাংশের মতামতকেই সিদ্ধান্ত হিসেবে গণ্য করা হয়। মানুষ কাজে বিশ্বাস করে। কান্নাকাটি বা চোখের পানিতে ভোট আসে না। মানুষ উন্নয়ন চায়, কাজ চায়। ২২ বছর ক্ষমতায় থেকে মওদুদ আহমদ এ এলাকার কোনও উন্নয়ন করেননি। একটি ঘরেও বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পারেনি। দিয়েছেন শুধু তারেক রহমানের খাম্বা। মানুষকে শুধু ধোঁকাবাজি দিয়েছে। ধোঁকাবাজির দিন শেষ।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী মওদুদ সাহেব মিথ্যাচার করছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন তাকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। আসলে জনগণ তাকে চায় না বলে কোনও গণসংযোগেই তিনি বের হন না। তিনি নিজেকে নিজেই অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। তাই নির্বাচনে কীভাবে বিশৃঙ্খলা করা যায়, তার পাঁয়তারা করছেন। জনগণের চেয়ে বড় হাতিয়ার আর কিছু নেই। জনগণের শক্তি দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক, উন্নয়নের রোল মডেল শেখ হাসিনা আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে অবশ্যই বিজয়ী হবেন।’

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সামছুদ্দিন সেলিম, জেলা পরিষদ সদস্য আলাবক্স টিটু, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন রুমি, কবিরহাট পৌরসভার মেয়র ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. একেএম জাফর উল্যাহ, সিরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।