৫ মাস পর বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদন শুরু

বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত)দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লার অভাবে বন্ধ থাকা দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট চালু করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মহসিমুল ফিরোজ। 

বড়পুকুরিয়া খনিতে কয়লা গায়েবের ঘটনায় গত ৫ মাস ধরে এই ইউনিটটি বন্ধ ছিল। এ নিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২টি ইউনিট চালু হলো। বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কয়লার প্রাপ্তি সাপেক্ষে বন্ধ থাকা আরও একটি ইউনিট চালু করা হবে।

তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মহসিমুল ফিরোজ বলেন, ‘বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিট থেকে প্রতিদিন ১৫০ থেকে ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। এখন দ্বিতীয় ইউনিট চালু হওয়ায় প্রতিদিন এই কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে ২২০ থেকে ২৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হচ্ছে। এই কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৭৫ ও দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১২৫ মেগাওয়াট। কয়লার অভাবে এখনও বন্ধ রয়েছে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ইউনিট।’

বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে চলতি বছরের ১৬ জুন থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। তবে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু রাখার জন্য প্রয়োজনীয় কয়লার মজুদ রয়েছে বলে গত ২০ জুন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড-পিডিবিকে নিশ্চিত করে খনি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গত ১৯ জুন বড়পুকুরিয়া খনি থেকে ১ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা জানাজানি হয়। পরে কয়লার অভাবে গত ২২ জুলাই বন্ধ হয়ে যায় বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন। এরই মধ্যে গত ২০ আগস্ট শুধু ঈদের জন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ১২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ইউনিট ৯ দিন চালু রাখা হয়। পরে গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রায় ৩ মাস পর কয়লা খনির উৎপাদন শুরু হলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ইউনিট চালু করে কর্তৃপক্ষ। তবে প্রয়োজনীয় কয়লার অভাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিট চালু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে কয়লা খনি থেকে যে কয়লা আসছে তা দিয়েই একটি ইউনিট চালু করা যাবে এমন সিদ্ধান্তের পর মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে একটি ইউনিট চালু করা হয়।

উল্লেখ্য, বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা কেলেঙ্কারির ঘটনায় ১৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলা দুদক তদন্ত করছে।