পুলিশ সব কিছুতে বাধা দিচ্ছে: মঞ্জু

খুলনায় বিএনপির সংবাদ সম্মেলন খুলনা-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ও নগর বিএনপির সভাপতি সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু অভিযোগ করেছেন, ‘খুলনা-২ আসনের ১৬টি ওয়ার্ডেই পুলিশ গত রাতে (শুক্রবার) তাণ্ডব চালিয়েছে। সম্রাট নামে এক কর্মীকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়েছে। ১২ জনকে বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সারারাত বাড়ি বাড়ি কান্না করেছে বিএনপি কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা। ৩১ ও ১৬ নং ওয়ার্ডের চিত্র আরও করুণ। পুলিশ সব কিছুতেই বাধা দিচ্ছে। পোলিং এজেন্টদের নিরাপত্তা নেই। সেনাবাহিনীর টহল ও সহযোগিতা ছাড়া কর্মীরা ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবে না।’

শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নিজ বাসভবনে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সব কথা বলেন তিনি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিএনপির জনপ্রিয়তা রয়েছে। ঐক্যফ্রন্টর ওপর জনতার আস্থা রয়েছে। সেনাবাহিনীকে মাঠে না দিয়ে ঘরে আটকে রাখা হয়েছে৷ ধানের শিষের পোস্টার স্তূপ করে পুড়িয়ে নষ্ট করা হচ্ছে। আমি কোনও এজেন্ট দিতে পারছি না। এজেন্ট তুলে নিয়ে গেছে। প্রস্তুত করা কাগজপত্র জোড় করে নিয়ে গেছে। এ পর্যন্ত ২৫টি অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু কোনোটিরই সুরাহা হয়নি।’

সকাল ৯টায় টুটপাড়া মডেল সরকারি স্কুলে ভোট দেবেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমার আসন থেকে গত ৩ দিনে ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় সাবেক মেয়র নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনিসহ বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির এই অভিযোগের বিষয়ে খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি)এডিসি ও মিডিয়া উইং প্রধান সোনালী সেন বলেন, ‘পুলিশ অহেতুক কাউকে হয়রানি বা গ্রেফতার করছে না। মামলার আসামি ও ওয়ারেন্টভুক্তদেরই কেবল ধরা হচ্ছে। যা পুলিশের নিয়মিত অভিযান। আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টহল জোরদার করা হয়েছে।’